কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) থেকে সুবল চন্দ্র দাস ঃ কিশোরগঞ্জে এবার ৩৫৭টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। দেবী দুর্গার এবার আগমন ঘটবে ঘোটে বা ঘোড়ায় চড়ে, আর ফিরে যাবেন দোলায় চড়ে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপনের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনার লক্ষ্যে পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন খানের সভাপতিত্বে বুধবার দুপুরে তার কার্যালয়ে পুলিশ বিভাগের সকল কর্মকর্তা ও পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে সভা হয়েছে। সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈয়দ আবু সায়েম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) এসএম মোস্তাইন হোসেন, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট বিজয় শঙ্কর রায়, সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ দত্ত প্রদীপসহ ১৩টি উপজেলা কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকগণও উপস্থিত ছিলেন। সভায় জানানো হয়, এ বছর জেলার ৩৫৭টি মন্ডপের মধ্যে সদর উপজেলায় ৫৪টি, হোসেনপুরে ১৪টি, করিমগঞ্জে ১০টি, পাকুন্দিয়ায় ১৬টি, কটিয়াদীতে ৪৩টি, বাজিতপুরে ৫৮টি, কুলিয়ারচরে ২৪টি, ভৈরবে ২১টি, ইটনায় ২৯টি, নিকলীতে ১৫টি, মিঠামইনে ১১টি, অষ্টগ্রামে ৪৮টি ও তাড়াইলে ১৪টি মন্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে। পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ সারা জেলায় পূজাকে ঘিরে উৎসবের পরিবেশ বিরাজ করছে উল্লেখ করে সুষ্ঠুভাবে দুর্গাপূজা আয়োজন ও সম্পন্ন করতে বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরেন। পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন খান সুষ্ঠুু ও শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপনের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বলেন, পূজায় সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। কেউ যেন কোন অপরাধমূলক তৎপরতা চালাতে না পারে, সে লক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। প্রতিটি মন্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরির শেষ ধাপ। দেবদেবীর পূর্ণাঙ্গ অবয়ব তৈরির পর প্রতিমা শিল্পীরা এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন রং বিন্যাসে। বিভিন্ন এলাকার ব্যান্ড পার্টিগুলোও প্রস্তুতি নিচ্ছে পূজা মন্ডপে ভাড়া যাবার জন্য। কিশোরগঞ্জের প্রতিটি মন্ডপেই হিন্দু ধর্মাবলম্বীর পাশাপাশি মুসলিম নর-নারীদেরও উপচেপড়া ভিড় পরিলক্ষিত হয়। অর্থাৎ, দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে কিশোরগঞ্জে ধর্মীয় সম্প্রীতির এক অপূর্ব নিদর্শন ফুটে ওঠে।