সিলেটে শিশু রাজন হত্যা মামলার প্রধান আসামি কামরুলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পুনরায় ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আগামীকাল বুধবার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১২ টার দিকে সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে কামরুলসহ ১১ জন আসামিকে হাজির করা হয়। সে সময় মামলার প্রধান আসামি কামরুলের পক্ষে তার আইনজীবী ১৫ জন সাক্ষীর আবারো সাক্ষ্য গ্রহণের আবেদন জানান। শুনানি শেষে বিচারক আকবর হোসেন মৃধা ১১ জন সাক্ষীকে আবারো সাক্ষ্য দেওয়ার নির্দেশ দেন। এর আগে গত রোববার মামলার সব সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের আবেদন খারিজ করে দেন আদালত। রাজন হত্যা মামলার মোট অভিযুক্ত ১৩ জন।এর মধ্যে কামরুলসহ এখন কারাগারে ১১ জন আটক রয়েছেন। পলাতক রয়েছেন কামরুলের ভাই শামীম আলম ও পাভেল নামের আরেকজন আসামি। এ মামলার মোট সাক্ষী ৩৮ জন। এর মধ্যে ২ সাক্ষী আসামিদের পক্ষে আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ায় তাদেরকে বৈরী ঘোষণা করে রাষ্ট্রপক্ষ। উল্লেখ্য, মামলার প্রধান আসামি কামরুলকে গত ২০ অক্টোবর সৌদি আরব থেকে ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হয়। বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকায় ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাকে ফিরিয়ে এনেছে বাংলাদেশ পুলিশ। পরদিন শুক্রবার সকালে আদালতে হাজির করা হলে কামরুলের নামে থাকা গ্রেফতারি পরোয়ানার পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্য মহানগর হাকিম আনোয়ারুল হক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। চলতি বছরের ৮ জুলাই সিলেটে শিশু রাজনকে নৃশংসভাবে খুন করে কিছু দুর্বৃত্ত। ওই ঘটনার তদন্ত শেষে মোট ১৩ জন আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০ জনকে আগেই গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। ঘটনার দু’দিন পর ১০ জুলাই প্রধান আসামি কামরুল জেদ্দায় পালিয়ে যায়। প্রবাসী বাংলাদেশীরা সেখানে তাকে আটক করেন। গত ২১ জুলাই মো. কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ইন্টারপোল রেড নোটিশ জারি করে। পুলিশ সদর দফতরের অনুরোধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বন্দি বিনিময়ের জন্য সৌদি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন। তবে দুই দেশের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকায় ইন্টারপোলের মাধ্যমে আসামি কামরুলকে ফেরত দিতে সম্মত হয় সৌদি কর্তৃপক্ষ।