টাঙ্গাইলে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে চরমপন্থি দল পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির দুই সদস্য নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া ৩টার দিকে সদর উপজেলার হুগড়া ইউনিয়নের মইষা গ্রামের শাহাদতের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আকবর হোসেন (৪৫) ও মইশা গ্রামের মনু মিয়া (৩৫)। টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি নাজমুল হক বিবিসি বাংলা-কে জানিয়েছেন, সদর উপজেলার মইশাল নানতোলা এলাকায় বুধবার ভোররাতের দিকে এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় একটি বাড়িতে চরমপন্থি সংগঠনের ১০/১২ জন অবস্থান নিলে খবর পেয়ে র্যাব সেখানে অভিযান চালায়। তিনি জানান, হতাহতরা সবাই চরমপন্থি দলের সদস্য। তবে তারা কোন দলের সদস্য এবং তাদের পরিচয় কি সে সম্পর্কে তিনি কিছু জানাতে পারেননি। তারা খুন, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধের জন্য অভিযুক্ত বলে তিনি দাবি করেন। ছবি: র্যাব (ফাইল) এছাড়া টাঙ্গাইল র্যাবের কোম্পানি কমান্ডার মুহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী – জানান, মইশা গ্রামে অভিযান চালানোর সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ১০-১২ জন চরমপন্থি ওই এলাকার শাহাদত হোসেনের বাড়িতে জোর করে অবস্থান নেয়। এ সংবাদ পেয়ে ওই বাড়িতে অভিযান চালায় র্যাব-১২। র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে তারা র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় র্যাব উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলাম গলায় গুলিবিদ্ধ হন। র্যাব সদস্যরা তাদের অবস্থান নেয়া টিনের ঘরের কাছে গেলে পুরো ঘরে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট তৈরি করে রাখে চরমপন্থিরা। পরে আত্মরক্ষার্থে র্যাব পাল্টা গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই মনু মিয়া (৩৮) ও মইশা নন্দনাল গ্রামের হাসু মিয়ার ছেলে আকবার হোসেন মেম্বার (৩৫) নিহত হন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয় আরও তিনজন। তারা হলেন- কাকুয়া বেলদা গ্রামের আব্দুল নূরের ছেলে চান মিয়া (৩৫), মইশা গ্রামের আরমান মিয়ার ছেলে রায়হান (৪০) ও গুপ্ত গাগুলজান গ্রামের আয়নালের ছেলে ফরিদ (৩৪)। আহত র্যা ব সদস্য মনিরুল ইসলামকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দেয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি দেশিয় তৈরি ওয়ান শুটার, দুই রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগজিন ও বেশ কয়েকটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয় বলে জানায় পুলিশ