২০১২ সালে প্রথমবার যখন মাঠে গড়ায় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) তিনি ছিলেন আইকন ক্রিকেটারদের একজন। সিলেট রয়ালসের অধিনায়কও ছিলেন তিনি। টুর্নামেন্টটির সর্বশেষ আসরেও ব্যাটে-বলে ছিলেন ঝলমলে। জাতীয় দলের একসময়ের অন্যতম সেরা সেই অলোক কপালির ভাগ্যে এবার বিপিএলের কোন দলও জোটেনি। বিপিএলের ‘প্লেয়ার বাই চয়েস’ -এ কেউ তার প্রতি আগ্রহ দেখায়নি। স্বভাবতই তাই হতাশ একসময়ে মারকুটে এই ব্যাটসম্যান। অভিযোগ তুলেছেন, পারফরম্যান্স নয় ‘অন্যকিছু’র ব্যাপার রয়েছে এখানে। একই সময়ের আরেক তারকা শাহরিয়ার নাফিস যখন বরিশাল বুলসে ডাক পেলেন, তখন হয়তো আবারো ব্যাটে ঝড় তোলার স্বপ্ন দেখছিলেন কাপালি। কিন্তু সে আশায় গুড়ে বালি দিয়ে তার প্রতি আগ্রহ দেখায়নি কোন দলই। প্রিয়.কমের সঙ্গে এক ফোনালাপে তাই হতাশাটা আটকে রাখতে পারলেন না। বললেন, ‘আমি চরম হতাশ। ভাবতেই পারিনি, বিপিএলের মতো টুর্নামেন্টে আমি দল পাবো না! যেখানে সর্বশেষ আসরেও আমার ভালো পারফরম্যান্স ছিলো।’ তবে দল না পাওয়ার পিছনে ‘অন্যকিছু’র প্রভাবের কথা জানালেন একসময়ের নিয়মিত এই ব্যাটিং অলরাউন্ডার। এবারের লটারি ব্যবস্থা নিয়ে কথা না বলতে চাইলেও দল না পাওয়ার ব্যাপারে ক্ষোভটা ঠিকই ছুঁয়ে গেলো, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে এবার পারফরম্যান্সকে প্রাধান্য দেওয়া হয়নি। ব্যাকিংয়ের জোরে অনেক খারাপ খেলোয়াড়ও সুযোগ পেয়েছে। আমার ব্যাকিং নেই, তাই দলও পাইনি।’ কাপালি জানালেন, ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর হয়তো মনে হয়েছে তিনি ভালো করতে পারছেন না। তাই সুযোগও পাননি। সুযোগ পেয়েছে যারা ভালো করছেন তারা। শুধু তাই নয়, বিপিএলে সুযোগ হয়নি পেসার রবিউল ইসলাম শিবলুরও। আগের দুই আসরেও সুযোগ হয়নি তার। মন্তব্য চাইতে গেলে কথার উপরেই বলে বসলেন, ‘নতুন করে কিছু বলার নেই। হতাশ হওয়ারও কিছু নেই, আমি গত দুইবারের দল পাইনি। তবে আশা ছিলো এবার হয়তো কিছু একটা হবে।’ এবারে অবশ্য এখনো আশাবাদী তিনি। এখনো সাত দিন হাতে সময় আছে উল্লেখ করে সৌম্য-মুস্তাফিজের প্রতিবেশী ক্রিকেটার এখনো সম্ভাবনা খুঁজছেন।