মিস্টার ফিনিশারখ্যাত নাসির হোসেন হঠাৎ করেই যেন হারিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ থেকে আবারও নবরূপে যাত্রা শুরু করেন এ তরুণ ক্রিকেটার। এবার ব্যাট হাতে নয়, বল হাতেও দলের জন্য অপরিহার্য ভূমিকা পালন করছেন তিনি। জাতীয় দলে ব্যাট হাতে ৭-৮ নম্বরে এ ক্রিকেটার দারুণ কার্যকর। বিশেষ করে ওয়ানডে ক্রিকেটে। কিন্তু টি-টোয়েন্টি দলে লেট-অর্ডারে নিজেকে আরও ভালোভাবে মেলে ধরতে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন তিনি। এজন্য আসন্ন জিম্বাবুয়ে সিরিজ ও বিপিএলকে বেছে নিয়েছেন এ ব্যাটসম্যান। এখান থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা ও আত্মবিশ্বাস তিনি কাজে লাগাতে চান বিশ্বকাপ আসরে। গতকাল জিম্বাবুয়ে সফরের আগে প্রস্তুতির এক ফাঁকে তিনি বলেন, ‘আমি নিজেকে প্রস্তুত করছি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য। বিশেষ করে কম বলে কীভাবে রান করা যায় তা নিয়ে কাজ করছি। সামনে জিম্বাবুয়ে সিরিজ, এরপর বিপিএল। আশা করি এ সিরিজে ভালো করতে পারলে সেই আত্মবিশ্বাস কাজে দেবে। আর বিপিএলে ভালো করতে পারলে সেখানকার অভিজ্ঞতা ও আত্মবিশ্বাস কাজে দেবে টি-২০ বিশ্বকাপে।’
অস্ট্রেলিয়া নিরাপত্তার কারণে টেস্ট সিরিজ বাতিল বাতিল করায় বিসিবি আয়োজন করে জিম্বাবুয়ে সিরিজের। কিন্তু জিম্বাবুয়ের চেয়ে আস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে খেলতে বেশি ভালো হতো বলে মনে করেন নাসির হোসেন। তিনি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া আসেনি, তাতে খারাপ তো লেগেছে। কারণ বড় দলগুলোর বিপক্ষে আমাদের চেষ্টা থাকে অনেক বেশি। আর সেখানে ভালো করতে পারলে সবার দৃষ্টি থাকে আমাদের দিকে। দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, ভারতের মতো দলের সঙ্গে খেললে অনেক কিছুই শেখার আছে। আমরা বড় দলগুলোর বিপক্ষে খেললে নতুন অনেক ভভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারি।’ তাই বলে জিম্বাবুয়েকেও উড়িয়ে দিচ্ছেন না নাসির হোসেন। দুর্বল হলেও ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কোন দলকেই ছোট বা হালকাভাবে নিতে রাজি নন তিনি। নাসির বলেন, ‘এটি সত্য, বর্তমানে জিম্বাবুয়ের পারফরম্যান্স খুব একটা ভালো না, ওরা দুর্বল দল। কিন্তু আমি মনে করি না ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কোন দলকে ছোট ভাবার সুযোগ আছে। কারণ এ দুই ফরমেটে যে দিন যে দল ভালো খেলবে, সেদিন তারাই ডমিনেট করবে। যে কারণে আমি মনে করি না জিম্বাবুয়েকে হালকাভাবে নেয়ার কোন কারণ আছে।’
এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়া না আসায় এবার ১৭তম এনসিএলে জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটারদের খেলার সুযোগ হয়েছে। নাসির হোসেন রংপুরের হয়ে খেলেছেন ৪টি ম্যাচ। এর মধ্যে ব্যাট হাতে একটি সেঞ্চুরিও হাঁকিয়েছেন। জাতীয় ক্রিকেট লীগের এ অভিজ্ঞতা আগামীতে বেশ কাজে আসবে বলেও তিনি বিশ্বাস করেন। নাসির বলেন, ‘আমাদের জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের এনসিএল খেলা খুব একটা সুযোগ হয় না। কিন্তু এবার অস্ট্রেলিয়া না আসাতে আমরা ৪-৫টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছি। সেখানে চেষ্টা ছিল বড় ইনিংস খেলার এবং লম্বা সময় উইকেটে টিকে থাকার। চেষ্টা করেছি কিন্তু সব সময় সফল হয়নি। তবে আমি মনে করি, এ অভিজ্ঞতা আমাদের ভবিষ্যতে বেশ কাজে দেবে। আর সেখান থেকে পাওয়া আত্মবিশ্বাসও আমাদের জিম্বাবুয়ে সিরিজে কাজে আসবে।’