হার ঠেকাতে ব্যাট হাতে বিশেষ কিছু করে দেখানোর দরকার ছিল সিলেট তারকাদের। তাদের সামনে ছিল বরং ইনিংস হারের হুমকি। কিন্তু রুমান আহমেদ ছাড়া ব্যাটে দৃঢ়তা দেখাতে পারলেন না সিলেট বিভাগ দলের বাকিরা। বিপরীতে রাজশাহী বোলাররা দেখালেন একাট্টা নৈপুণ্য। দ্বিতীয় ইনিংসে সিলেটের ১০ উইকেট ভাগাভাগি করলেন রাজশাহীর ছয় বোলার। রুম্মান আহমেদের অসাধারণ সেঞ্চুরিতে ইনিংস হারের লজ্জা থেকে বাঁচে সিলেট বিভাগ। তবে ম্যাচ শেষে রাজশাহী বিভাগ দেখে ১০ উইকেটের বড় জয়। জাতীয় ক্রিকেট লীগে কক্সবাজারের শেখ কামাল মাঠে ঢাকা বিভাগ ও ঢাকা মেট্রোর ম্যাচে পণ্ড হলো টানা তৃতীয় দিনের খেলাও। খুলনার শেখ আবু নাসের মাঠে গতকাল সিলেট বিভাগের দ্বিতীয় ইনিংস গুটিয়ে যায় ২৪২ রানে। চার নম্বরে ব্যাট হাতে ১৩২ বলে ১০৬ রানের মারকুটে ইনিংস খেলেন রুম্মান আহমেদ। এতে রুম্মান হাঁকান ১৪টি বাউন্ডারি ও এক হালি ছক্কা। কিন্তু নিয়মিত বিরতিতে উইকেট খুইয়ে শেষ বিকালে রাজশাহীকে জয়ের জন্য ২৬ রানের টার্গেট দেয় সিলটে বিভাগ। কোন উইকেট না খুইয়ে টার্গেট পার করে রাজশাহী বিভাগ। আগের দিনের ১১/০ সংগ্রহ নিয়ে গতকাল দিনের শুরুতেই লণ্ডভণ্ড হয় অলক কাপালীবাহিনী। দিনের প্রথম ২.৪ ওভারে তিন উইকেট খোয়ায় তারা। প্রথম ওভারে জোড়া আঘাত হানেন রাজশাহীর পেস তারকা শাফাক আল জাবির। দিনের তৃতীয় বলে ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেন ও পঞ্চম বলে উইকেট দিয়ে সাজঘরে ফেরেন সিলেটের ওয়ানডাউন ব্যাটসম্যান সায়েম আলম। দলীয় ১৭ রানে ওপেনার শাহনাজ আহমেদের বিদায়ে ইনিংস হারের শঙ্কা গাঢ় হয় সিলেটের। তবে ব্যাট হাতে লেজের দৃঢ়তায় শেষ পর্যন্ত ইনিংস হার এড়াতে সক্ষম হয় সিলেট। শেষ তিন উইকেটে তাদের স্কোর বোর্ডে জমা পড়ে ৫৬ রান। রাজশাহীর প্রথম ইনিংসে জোড়া সেঞ্চুরি হাঁকান ফরহাদ হোসেন (১৪৪) ও হামিদুল ইসলাম (১০৫)। অপর ম্যাচে বগুড়ার শহীদ চান্দু মাঠে গতকাল দিনটি ছিল জাতীয় তারকা মুমিনুল হকের ব্যাটে আলোকিত। বরিশাল বিভাগের ৪৮৯ রানের জবাবে গতকাল ৪২৩/৮ সংগ্রহ নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করে চট্টগ্রাম বিভাগ। ডবল সেঞ্চুরি হাঁকান মুমিনুল হক। ৩২২ বলের ইনিংসে মুমিনুল হাঁকান ৩৭টি বাউন্ডারি। দ্বিতীয় উইকেটে মুমিনুল ও নাফিস ইকবাল গড়েন ১৫৬ রানের জুটি। বাঁ-হাতি স্পিনার মনির হোসেন ও অফস্পিন তারকা সোহাগ গাজী নেন সমান তিন উইকেট। ম্যাচের তৃতীয় দিন শেষে চট্টগ্রাম ৬৬ রানে পিছিয়ে
লেজের জোর দেখালো রংপুর
বৃষ্টির বাগড়ায় পণ্ড হয় রংপুর-খুলনা ম্যাচের টানা দুই দিনের খেলা। তবে গতকাল মাছে নামার সুযোগ পান দু’দলের খেলোয়াড়রা। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে এতে শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে রংপুর বিভাগ। দলীয় ৮২ রানে পাঁচ উইকেট খোয়ায় তারা। তবে দৃঢ়তা দেখান রংপুরের টেলএন্ড ব্যাটসম্যানরা। ছয়, সাত ও আট নম্বরে ব্যাট হাতে যথাক্রমে ৬৯, ১০৫ ও ৬৬* রানের ইনিংস খেলেন ধীমান ঘোষ, তানভীর হায়দার ও সোহরাওয়ার্দী শুভ। ষষ্ঠ উইকেটে ১১৬ ও অষ্টম উইকেট ১২৬ রানের জুটি গড়েন রংপুরের এ দিন টেলএন্ডার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (তৃতীয় দিন)
রাজশাহী-সিলেট
টস: রাজশাহী, ফিল্ডিং
সিলেট বিভাগ: ১৭৬ ও ২৪২ (রুম্মান ১০৬, কাপালী ৩১, এনামুল জুনি. ২২, সানজামুল ৩/৯০, শাফাক ২/২৪, নিহাদুজ্জামান ২/৫৬, শাহজাদা ১/১৯, ফরহাদ ১/২১, মঈনুল ১/২৬)।
রাজশাহী বিভাগ: ৩৯৫ ও ২৬/০
ফল: রাজশাহী ১০ উইকেটে জয়ী
বরিশাল-চট্টগ্রাম
টস: চট্টগ্রাম, ফিল্ডিং
বরিশাল বিভাগ ১ম ইনিংস: ৪৮৯
চট্টগ্রাম বিভাগ ১ম ইনিংস: ৪২৩/৮ ব্যাটিং (মুমিনুল ২৩৯, নাফিস ইকবাল ৫৬, মনির ৩/৬৪, গাজী ৩/১০৩, কবির ১/৪০, সালমান ১/৬৩)।
রংপুর-খুলনা
টস: খুলনা, ফিল্ডিং
রংপুর ১ম ইনিংস: ৩২৪/৭ (তানভির হায়দার ১০৫, ধীমান ঘোষ ৬৯, সোহরাওয়ার্দী শুভ ৬৬*, রাজ্জাক ৪/১২৪, মুরাদ ৩/৬৬)।