দীর্ঘ প্রায় ২১ ঘণ্টা পাহারা দেয়ার পর রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বরে পরিত্যক্ত শক্তিশালী বোমা দুটির বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে ঢাকা থেকে আসা র্যাবের বিশেষজ্ঞ দল। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় বোমা দুটির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এ সময় আশপাশে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এর আগে বেলা ১১টায় র্যাব সদর দপ্তর থেকে বোমা বিশেষজ্ঞ একটি দল পুঠিয়ায় এসে পৌঁছায়।
বোমার বিস্ফোরণ ঘটানোর সময় রাজশাহীর পুলিশ সুপার (এসপি) নিশারুল আরিফ, সহকারী পুলিশ সুপার (পুঠিয়া সদর সার্কেল) আসলাম উদ্দীন, র্যাব-৫-এর এএসপি তোফায়েল হোসেন ও পুঠিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) হাফিজুর রহমানসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র জানায়, গত রোববার দুপুরে পুঠিয়ার বানেশ্বর ডিগ্রি কলেজসংলগ্ন কাঠের মিল অবস্থিত। মিলের পাশে ওই মিলের এক কর্মচারী একটি ব্যাগের মধ্যে প্রথমে বোমা দুটি দেখতে পান। পরে তিনি আশপাশের লোকজনকে বিষয়টি জানান। স্থানীয়রা পুঠিয়া থানা পুলিশকে খবর দেন। রাজশাহীতে এ রকম বোমা নিষ্ক্রিয় করার মতো কোনো সরঞ্জাম না থাকায় গত রোববার দুপুর থেকেই র?্যাব-৫ এবং পুঠিয়া থানা পুলিশের একটি দল বোমা দুটি গতকাল দুপুর পর্যন্ত পাহারা দেয়। পুঠিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) হাফিজুর রহমান জানান, রোববার দুপুরে উপজেলার বানেশ্বরে দুটি হাতবোমা পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে রাজশাহী র্যাব-৫-এর সদস্যরা বোমা রাখার ওই স্থানটি ঘিরে রাখেন।
রাজশাহী র্যাব-৫ এএসপি তোফায়েল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, বানেশ্বর কলেজের পেছনে আবুল খায়েরের কাঠমিলের পাশে একটি ব্যাগে করে বোমাসদৃশ বস্তু দুটি ফেলে রাখে দুর্বৃত্তরা। বিকালে থানা পুলিশ বস্তু দুটি নিষ্ক্রিয় করার জন্য র্যাবকে জানায়। তবে বস্তু দুটি শক্তিশালী বোমা বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়ার পর ঢাকার বিশেষজ্ঞ দলকে খবর দেয়া হয়। পরীক্ষার পর ঢাকার দলটি বোমা দুটির বিস্ফোরণ ঘটায় বলেও জানান তিনি। কে বা কারা ঠিক কী উদ্দেশ্যে বোমা দুটি সেখানে রেখেছিল তা পুলিশ ও র্যাব যৌথভাবে খতিয়ে দেখছে। এ ব্যাপারে পরে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।