মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেছেন, অপরাধীদের ধরার নামে নিরীহ জনগণকে যেন হয়রানি করা না হয়। অতীতে যেমন অপরাধীদের শনাক্তের নামে জজ মিয়া কাহিনী বানানো হয়েছিল সে রকম কোন জজ মিয়া কাহিনীর সঙ্গে আমরা আর পরিচিত হতে চাই না। যারা সত্যিকার অর্থে অপরাধী শুধু তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। গতকাল দুপুরে ফেনী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক নারীর চিকিৎসার খোঁজ খবর নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন। গত ২৮শে অক্টোবর রাতে ফেনীর সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নে মাথিয়ারা জেলে পাড়ার হিন্দু বাড়িতে আতশবাজি ফোটানোকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বখাটেদের সঙ্গে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় ওই হিন্দু বাড়ির প্রসূতি তুলসি রানী দাসসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়। হামলায় আহত প্রসূতি তুলসি রানী দাস ঘটনার পরদিন ভোরে মৃত সন্তান প্রসব করে। তুলসি রানী দাসের চিকিৎসার ও হামলাকারীদের খোঁজ খবর নিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের মিজানুর রহমান ফেনী সদর হাসপাতালে যান। এ সময় তার সঙ্গে ফেনী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বিকম, সিভিল সার্জন ইসমাঈল হোসের সিরাজী, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা পিকেএম এনামুল করিম, ফেনী সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সারোয়ার জাহান, ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুব মোর্শেদসহ সংখ্যলঘু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।