বাণিজ্য সম্প্রসারণে বাধাগুলো দূর করা হলে বাংলাদেশ আরও দ্রুত এগিয়ে যাবে। এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া মিরাক্কেল। বিশ্বের বড় গবেষা প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশের প্রশংসা করছে এবং এগিয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিচ্ছে। বাংলাদেশের রপ্তানি দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তিতে রপ্তানি ৬০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ পৃথিবীর মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশ। সরকার দেশের রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য পরিকল্পনা মোতাবেক রপ্তানিপণ্য সংখ্যা বৃদ্ধি এবং রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে কাজ করে যাচ্ছে। এখন প্রয়োজন বাণিজ্য সহযোগিতা বৃদ্ধি। গতকাল থাইল্যান্ডে সফররত বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ব্যাংককে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের ইকোনমিক অ্যান্ড সোস্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিকের (ইসক্যাপ) এশিয়া প্যাসিফিক বিজনেস ফোরামের দ্বাদশ কনফারেন্সের ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড, ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ, রিজিওনাল কনফ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ, আসিয়ান ইকোনমিক কমিউনিটি অ্যান্ড আদার রিজিওনাল ইনিসিয়েটিভস’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় এসব কথা বলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ইতিমধ্যে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন প্রায় ২৭ বিলিয়ন ডলার। আমাদের ব্যালেন্স অফ পেমেন্ট পজেটিভ। সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইসক্যাপ বিজনেস অ্যাডভাইজরি কাউন্সিলের চেয়ারপারসন দাতুক সিরি মোহাম্মদ ইকবাল রাওদার, ইউএনএসক্যাপের এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি ড. শামশাদ আখতার। কি-নোট উপস্থাপন করেন থাইল্যান্ডের ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টিার ড. সমকিড জাতুশ্রীপিতাক। পরে ইউএনএসক্যাপের এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি ড. শামশাদ আখতারের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। এ সময় মন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে সহযোগিতা বৃদ্ধি জন্য ইউএনএসক্যাপের টেকনিক্যাল এবং সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন এবং বাংলাদেশ সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানান। তিনি বাণিজ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন এবং আগামী বছর সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আশা ব্যক্ত করেন। বাণিজ্য ক্ষেত্রে চলমান সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধান এবং টেকনিক্যাল সহযোগিতার বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণের আশ্বাস দেন।