বিলুপ্ত ছিটমহলবাসীকে কৃষিঋণ দিতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল এক সার্কুলার জারি করে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
‘বাংলাদেশ-ভারত স্থলসীমান্ত চুক্তি অনুসারে বাংলাদেশ-ভূখণ্ডে অন্তর্ভুক্ত হওয়া ১১১টি ছিটমহল বাসিন্দাদের অনুকূলে কৃষিঋণ বিতরণ’ শীর্ষক ওই সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত অধুনালুপ্ত ১১১টি ছিটমহলের বাসিন্দাদের অনুকূলে কৃষিজমির বিপরীতে কৃষিঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে জমির মালিকানা-সংক্রান্ত সমস্যা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জমির মালিকের ছবিসহ জমির মালিকানা বিষয়ে উপজেলা অফিসার/সাব-রেজিস্ট্রারের প্রত্যয়নপত্রের বিপরীতে কৃষি ও পল্লীঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচি অনুযায়ী কৃষিঋণ বিতরণ করা যাবে। এ ছাড়া জমির মালিকানা নিশ্চিত করা না গেলে নাগরিকত্ব সনদ যাচাইপূর্বক দুই বা ততোধিক কৃষকের অনুকূলে গ্রুপ ভিত্তিতে কৃষিকাজের জন্য বিশেষ গ্রুপ কৃষিঋণ (শস্য বন্ধকীকরণের বিপরীতে) বিতরণ করা যাবে। বিলুপ্ত ছিটমহলের বাসিন্দাদের কল্যাণে ‘যা যা দরকার’ সব করার আশ্বাস দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ১৫ই অক্টোবর কুড়িগ্রামের বিলুপ্ত ছিটমহল দাশিয়ারছড়ায় বিদ্যুৎসেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী এ ঘোষণা দেন। এরপর ২৪শে নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান উত্তরাঞ্চলে সফরে গিয়ে বিলুপ্ত ছিটমহলবাসীকে সব ধরনের ব্যাংকিংসেবা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
সেখানে তিনি ৩৮টি ব্যাংকের তরফে আড়াই কোটি টাকার সিএসআর ও বিভিন্ন ঋণ বিতরণ করেন। একই সঙ্গে সদ্য আসা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সব সমস্যা সমাধানে ব্যাংকিং খাত পাশে থাকার ঘোষণা দেন।