নিজেই নিষিদ্ধ হয়েছিলেন অবৈধ বোলিংয়ের অভিযোগে। ১৭৮টি টেস্ট, ১৮৪টি ওয়ানডে ও ৮৫টি টি-টোয়েন্টি উইকেটশিকারি আজমল গত বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন চাকিংয়ের কারণে। বোলিং অ্যাকশন পরিবর্তন করে গত এপ্রিলের বাংলাদেশ সফরে দলে ফিরলেও পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক, আর সে কারণেই বাংলাদেশ সফরের পরপরই দল থেকে বাদ পড়েন।
নিজের দুর্বলতা থাকা সত্ত্বেও আঙ্গুল তুলেছেন অন্যের দিকে। পাকিস্তানের সংবাদ ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল দুনিয়া নিউজের খেলাধুলা বিষয়ক অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ও বিশ্লেষক জয়নব আব্বাস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে এক বার্তায় জানিয়েছেন, তার কাছে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হরভজন সিংকে চাকিংয়ের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন আজমল। একই সাথে তিনি রবিচন্দ্রন অশ্বিনের নামেও অভিযোগ তুলেছেন।
তার এই বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়েছেন ভারতের সাবেক স্পিনাররা। বিশান সিং বেদি এবং এরাপল্লি প্রসন্নের মতো কিংবদন্তিরা তাদের মতামত জানিয়েছেন। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজারকে প্রসন্ন বলেন, ‘চরম হতাশার শিকার হয়ে আজমল এ সব বলছে। আইসিসি তো অশ্বিন-হরভজনকে নিয়ে একটা কথাও বলেনি। আজমলের এখন অনেক কিছু মনে হচ্ছে। আসলে চাকিংয়ের অভিযোগে দীর্ঘ দিন ক্রিকেটের বাইরে থাকলে লোকে এ রকম কথা বলে। স্বস্তা প্রচার পেতে চাইছে সে। সত্যি বলতে কী, আজমলের এই অভিযোগগুলো শুনে আমি স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছি।