মিয়ানমারে ২৫ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো উন্মুক্ত সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সামরিক জান্তার কয়েক দশকের শাসনের পর এ প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নিজেদের নেতা নির্বাচনের সুযোগ পাচ্ছেন মিয়ানমারের জনগণ। তবে এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে সামরিক বাহিনী সমর্থিত ইউনিয়ন সলিডারিটি ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) দল। অপর দিকে গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসিও (এনএলডি) রয়েছে মাঠে। ধারণা করা হচ্ছে, দলটি এ নির্বাচনে বড় ধরণের অগ্রগতি অর্জন করতে পারবে। যদিও সামরিক জান্তার সংশোধিত সংবিধানের একটি বিধানের ফলে প্রেসিডেন্ট হবার সুযোগ নেই সু চির। এ খবর দিয়েছে বিবিসি। ইয়াঙ্গুনের একটি ভোট কেন্দ্রে সু চি ভোট প্রদানের জন্য গেলে তার চারপাশে প্রচুর লোকের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। শুক্রবার বর্তমান প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন বলেন, নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী গঠিত নতুন সরকার আমি মেনে নেব। এ নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন প্রায় ৩ কোটি মানুষ। সোমবার সকালের আগে পরিষ্কার ফলাফল আঁচ করা যাবে না। ৯০টি দলের প্রায় ৬ হাজারেরও বেশি প্রার্থী দেশটির ৬৬৪টি আসনে লড়ছেন। ২০১১ সালে সরাসরি সেনা শাসন থেকে নামেমাত্র বেসামরিক সরকারে পদার্পন করে মিয়ানমার। এরপর এবার পূর্ণ গণতান্ত্রিক নির্বাচন। কিন্তু পার্লামেন্টের ৬৬৪টি আসনের ২৫ শতাংশই আগে থেকে অনির্বাচিত সামরিক প্রতিনিধিদের হাতে থাকবে। এরা ইউএসডিপি দলকেই সমর্থন দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আবার কিছু প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, মিয়ানমারের মুসলমান ভোটারদের ভোট প্রদান বা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার ওপর কার্যত নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে সরকার।