ভারতের বিপক্ষে এ বছরই ওয়ানডে অভিষেক হয় প্রতিভাবান তরুণ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান লিটন কুমার দাসের। প্রথম ম্যাচে এলবিডব্লিউর শিকার হন আট রানে। এরপর গতকাল পর্যন্ত তার ওপর আস্থা রেখেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু অষ্টম ম্যাচেও তিনি আউট হয়েছেন মাত্র সাত রান করে। ১৫.২৭ গড়ে এ পর্যন্ত তার সংগ্রহ ১০৭ রান। এর মধ্যে তার ব্যাট থেকে সর্বোচ্চ ভারতের বিপক্ষে ৩৫ রান। এই সিরিজে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওপেনিং করতে নেমেও দলের আস্থার মূল্য দিতে পারেনি। আউট হয়েছেন শূন্যতেই। তাই প্রশ্ন ওঠে তার দলে নিয়মিত সুযোগ পাওয়া নিয়েও। যদিও তার পক্ষে আছেন দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। তাই তাকে বারবার সুযোগ দিয়ে সেরাটা আদায় করে নিতেই আশায় আছেন তিনি। তবে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান খালেদ মাসুদ পাইলট লিটনের সুযোগ দেয়ার পক্ষে থাকলেও ভিন্নমতও আছে। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই লিটন খুবই ভালো ও প্রতিভাবান ক্রিকেটার। তাকে সুযোগ দেয়া হচ্ছে যেন তার সেরাটাই আমরা পেতে পারি।’ শ্রীলঙ্কার সাবেক মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান মারভান আতাপাত্তুর উদাহরণ টেনে পাইলট বলেন, আতাপাত্তু শুরুতে কিন্তু রান পায়নি। তারপরও লঙ্কান টিম ম্যানেজমেন্ট তার ওপর আস্থা রেখেছে। তার প্রতিদান আতাপাত্তু দিয়েছে। আমিও লিটনের কাছে তেমন কিছুর অপেক্ষায় আছি।’ অন্যদিকে নির্বাচকরা জিম্বাবুয়ে সিরিজে দুই ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা করেছিলেন। তাই তৃতীয় ম্যাচে হয়তো দলে একটি পরিবর্তনও আসার সুযোগ আছে। যদিও এরই মধ্যে সন্তানের জন্য সাকিব আল হাসান যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছেন। তাই তার পরিবর্তে দলে এরই মধ্যে এনামুল হক বিজয় চলে এসেছেন। তবে তাকে খেলানো হয়নি দ্বিতীয়
ম্যাচ। কিন্তু বাংলাদেশ সিরিজ জিতে গেলে হয়তো পরীক্ষার জন্য লিটনের পরিবর্তে বিজয়কে সুযোগ দেয়া যেতে পারে- এমনটাই ক্রিকেট বোদ্ধাদের ধারণা। কারণ, দ্বিতীয় ম্যাচে সাকিব আল হাসানের পরিবর্তে দলে সুযোগ পাওয়া ইমরুল কায়েস ৭৬ রান করে নিজের যোগ্যতার আবারও প্রমাণ রেখেছেন। তাই লিটনের ধারাবাহিক ব্যর্থতায় হয়তো তৃতীয় ম্যাচে সুযোগ হতে পারে বিজয়ের। এ বিষয়ে খালেদ মাসুদ বলেন, ‘কাকে সুযোগ দেয়া হবে আর হবে না তা সম্পূর্ণ নির্ভর করে মাঠে অধিনায়ক ও কোচের ওপরই। যে আত্মবিশ্বাসী, রান করতে সাহস রাখে, তাকেই সুযোগ দেয়া উচিত। তবে আমি মনে করি এনামুল হক বা লিটন যে আসুক তাদের দুজনের ক্ষমতা আছে দলের জন্য কিছু করার। আমার শুভ কামনা দুজনের জন্যই।’ এছাড়াও ঘরোয়া ক্রিকেটে রানের ফুলঝুরি ছুটিয়ে আসা লিটনের এভাবে রানে না থাকার কারণ অনেকটা মানসিক প্রতিবন্ধকতাই মনে করেন খালেদ মাসুদ। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি লিটন সুযোগ পেলেও কোন মানসিক প্রতিবন্ধকতার মধ্যে আছেন। বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে সে খেলে এসেছে। সেখানকার পরিবেশ ও পরিস্থিতি এখানের মতো নয়। তাই আমার মনে হয় তার সঙ্গে টিম ম্যানেজমেন্টের কথা বলা উচিত। তার কি সমস্যা হচ্ছে সেটি সমাধান করা উচিত। সেই সঙ্গে প্রয়োজন হলে তাকে কিছুটা বিশ্রাম দিয়ে মানসিক এ সমস্যা দূর করা উচিত।’