২০১৫’র বিশ্বকাপে আলোচিত তারকাদের একজনের নাম মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। মহাযজ্ঞের মহামঞ্চে ব্যাটের ঝলকে ক্রিকেট বিশ্বকে চমকে দিয়েছিলেন বাংলাদেশের এ টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান। টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে এতে মাহমুদুল্লাহ নিজের নাম তুলে নেন গর্বের রেকর্ডে। আসরের ৬ ম্যাচে ব্যাট হাতে মাহমুদুল্লাহর রানের গড় ছিল ৭৩.০০। তবে পরের চিত্রটি ভিন্ন। বিশ্বকাপের পর ব্যাট হাতে ৭ ম্যাচে মাহমুদুল্লাহর সাকুল্যে সংগ্রহ ৮৯ রান। এতে মাহমুদুল্লাহ ব্যক্তিগত এক অঙ্কের রান নিয়ে উইকেট বিসর্জন দেন ৫ বার। সর্বশেষ বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশ-পাকিস্তান দ্বিপক্ষীয় সিরিজে তিন ওয়ানডেতে মাহমুদুল্লাহর ব্যাট থেকে আসে সাকুল্যে ২৬ রান। বিশ্বকাপ শেষে পাকিস্তানিরা তার ব্যাটিংয়ের পুঙ্খানুপুঙ্খ হোম ওয়ার্ক করার কারণে তার এমন ছন্দপতন বলে মনে করছিলেন মাহমুদুল্লাহ। ইনজুরির কারণে ভারতের বিপক্ষে সিরিজে দলের বাইরে ছিলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তবে বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে যথারীতি দলে ফেরেন বাংলাদেশের এ টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান। গতকাল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সতর্ক ব্যাটিংই দোখাচ্ছিলেন মাহমুদুল্লাহ। ২০ বলে মাহমুদুল্লাহ করেন ৪ রান। তবে ইনিংসের ১৭.৪ ওভারে জিম্বাবুইয়ান লেগ স্পিনার গ্রায়েম ক্রিমারের নির্বিষ এক ডেলিভারিতে নিজের উইকেট খোয়ান তিনি। ব্যাটের মুখ খুলে থার্ডম্যান অঞ্চলে বল হাঁকাতে যান মাহমুদুল্লাহ। সময়ের হেরফেরে মাহমুদুল্লাহর ব্যাটের কানা নিয়ে বল জমা পড়ে জিম্বাবুয়ে কিপার রেগিস চাকাভার গ্লাভসে। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মাহমুদুল্লাহ উইকেট খোয়ান ব্যক্তিগত ৯ রানে। জিম্বাবুয়ে পেসার তিনাশে পানিয়াংগারার ব্যাক অব দ্য লেংথ ডেলিভারি জায়গায় দাঁড়িয়ে ব্যাট চালান মাহমুদুল্লাহ। পরিণতি, বোল্ড আউট। ২০১৫’র বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালের যোগ্যতা দেখায় বাংলাদেশ। বিশ্বকাপ ইতিহাসে এটি বাংলাদেশের সেরা সাফল্য। আসরের ৬ ম্যাচে বাংলাদেশের সর্বাধিক ৩৬৫ রান করেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। এতে ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাহমুদুল্লাহ হাঁকান টানা দুই সেঞ্চুরি। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের আগের ২৮ ম্যাচে ব্যক্তিগত সেঞ্চুরি ছিল না একটিও।
বিশ্বকাপের পর মাহমুদুল্লাহর ৭ ইনিংস
রান বল প্রতিপক্ষ ভেন্যু তারিখ
৫ ১৮ পাকিস্তান ঢাকা ১৭ই এপ্রিল ’১৫
১৭ ২৮ পাকিস্তান ঢাকা ১৯শে এপ্রিল ’১৫
৪ ১০ দ.আফ্রিকা ঢাকা ১০ই জুলাই ’১৫
৫০ ৬৪ দ.আফ্রিকা ঢাকা ১২ই জুলাই ’১৫
– – দ.আফ্রিকা চট্টগ্রাম ১৫ই জুলাই ’১৫
৯ ২০ জিম্বাবুয়ে ঢাকা ৭ই নভেম্বর ’১৫
৪ ২০ জিম্বাবুয়ে ঢাকা ৯ই নভেম্বর ’১৫