অস্ট্রেলিয়াকে সব ধরনের নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত বাংলাদেশ সরকার। আগেরদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এমন নিশ্চয়তা পেয়েছেন সকারুজদের নিরাপত্তা প্রতিনিধি দল। এখানকার পরিস্থিতি দেখতে গতকাল এলেন আরেক কর্মকর্তা প্যাট্রিক মিশেল ব্র্যাডলি। আজ সকালে ঢাকা আসার কথা আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থার (ফিফা) এক নিরাপত্তা কর্মকর্তার। এরা প্রত্যেকেই ভেন্যুসহ প্যাকটিস গ্রাউন্ড দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এর পরেও মাঠ ও মাঠের বাইরে খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা ঝুঁকি এড়াতে সম্ভাব্য সবকিছুই করা হবে বলে জানিয়েছেন এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) নিরাপত্তা কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ মারুফ হাসান। আলাপকালে তিনি আরও বলেন, টিম বাস যাতায়াতের পথগুলোও সম্পূর্ণ যানজটমুক্ত রাখা হবে। নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ম্যাচ ভেন্যু বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম পরিদর্শনের পর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ বলেন, ‘ড্রেসিং-রুমে প্রবেশ পথের আশপাশে কিছু দর্শক আসন রয়েছে। নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এ জায়গাটা দর্শকশূন্য রাখতে বলেছেন। আমরা সে ব্যবস্থাই গ্রহণ করবো।’ নিরাপত্তার স্বার্থে ম্যাচের ২৪ ঘন্টা আগে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম চত্বরের
দোকানপাট বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানান বাফুফে সাধারণ সম্পাদক। এ সময় ম্যাচ ভেন্যুর আশাপাশে নিরাপত্তা এবং ম্যাচ সংশ্লিষ্ট ছাড়া সবধরনের যানবাহনের চলাচল সংরক্ষিত করা হবে বলেও জানানো হয়। এদিকে বাফুফে গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান বাবুল জানান- মাঠ নিয়ে অতিথিদের কোন আপত্তি নেই। তবে কিছু কিছু জায়গা মেরামত করতে হবে। এ কর্মকর্তার কথায়, ‘গোলপোস্টের আশাপাশে ঘাস কম। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আমরা সে জায়গা নিয়ে দ্রুতই কাজ করবো।’ বাংলাদেশ সফরে সকারুরা অনুশীলন করবে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব মাঠে। এ ভেন্যুও পরিদর্শন করেছেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। অতিথি দলের চাহিদামাফিক অনুশীলনের সময় শেখ জামাল ক্লাব গ্রাউন্ডের চারদিক ঘিরে দেয়া হবে। এ সময় সাধারণের প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত থাকবে। ক্লাব গ্রাউন্ডের আশপাশ এলাকা থাকবে পুলিশ বেষ্টিত। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচ খেলতে ১৪ই নভেম্বর ঢাকা আসছে সকারুরা। ১৭ই নভেম্বর বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। গত ৩রা সেপ্টেম্বর পার্থে অনুষ্ঠিত এ্যাওয়ে ম্যাচে স্বাগতিকদের কাছে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত হয় বাংলাদেশ। আরেক অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে লাল-সুবজরা বর্তমানে তাজিকিস্তান রয়েছে।