নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সেভেন মার্ডারের ঘটনায় করা দুটি মামলার মধ্যে একটি মামলার বাদী নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটির নারাজির রিভিশন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন এ আদেশ দেন। এর আগে ২১শে জুলাই একই আদালতে নারাজি রিভিশন করেন বিউটি। ওদিকে নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশিক ঈমামের আদালতে কারাগার থেকে ২২ আসামিকে নিয়মিত হাজিরার জন্য আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পালের করা মামলায় চার্জশিটভুক্ত আসামি র্যাব-১১-এর সাবেক ক্যাম্প কমান্ডার চাকরিচ্যুত লে. কর্নেল তারেক সাঈদের জামিন আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করেন। আদালত আগামী ৩০শে নভেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন। এর আগে বিউটির মামলায় তারেক সাঈদের জামিন আবেদন করা হলেও আদালত তা নামঞ্জুর করেন। নারায়ণগঞ্জ আদালতের এপিপি ফজলুর রহমান জানান, আদালতে তারেক সাঈদের পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়েছিল। আদালত সেটা নামঞ্জুর করেছেন। কারণ তারেক সাঈদ হলো পুরো ঘটনার নায়ক। তিনি আরও জানান, সাত খুনের ঘটনায় অ্যাডভোকেট চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় পাল ও নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি পৃথকভাবে দুটি মামলা করেন। সোমবার শুনানির পর বিজয় পালের মামলাটি জজ কোর্টে পাঠানোর আদেশ দেয়া হয়েছে। ওদিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এপিপি ফজলুর রহমান জানান, নারাজি খারিজের বিরুদ্ধে সেলিনা ইসলাম বিউটির আবেদন করা নারাজি পিটিশন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। মামলার বাদী সেলিনা ইসলাম বিউটি ও বাদীপক্ষের আইনজীবী জেলা বারের সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান জানান, আমরা এ ব্যাপারে উচ্চ আদালতে আপিল করবো। আমাদের আশাবাদ উচ্চ আদালত আমাদের আর্জি গ্রহণ করবেন। সাত খুনের ঘটনায় সেলিনা ইসলাম বিউটি ও নিহত অ্যাডভোকেট চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় পাল পৃথকভাবে দুটি মামলা করেন। গত ৮ই এপ্রিল মামলার তদন্তকারী সংস্থা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) দুটি মামলার অভিন্ন চার্জশিটে র্যাবের সাবেক ৩ কর্মকর্তা লে. কর্নেল তারেক সাঈদ, মেজর আরিফ হোসেন, লে. কমান্ডার এম এম রানা এবং সাবেক নাসিক কাউন্সিলর নূর হোসেনসহ ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করে।
তবে বিউটির মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় এজাহারভুক্ত ৫ আসামিকে। এ ঘটনায় ১১ই মে আদালতে সেলিনা ইসলাম বিউটি চার্জশিটের বিরুদ্ধে নারাজি দেন। পরে ৮ই জুলাই শুনানিতে চার্জশিটের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন খারিজ করে দেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। এরপর ২১শে জুলাই নারাজি খারিজের বিরুদ্ধে নারাজি রিভিশন পিটিশন করেন মামলার বাদী সেলিনা ইসলাম বিউটি।