বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অনুষ্ঠেয় টিকফা বৈঠকের শুরুতেই বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা ফেরত দেয়ার বিষয়টি আলোচনায় তোলা হবে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট মনে করেন, টিকফা বৈঠকে আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ হারানো জিএসপি সুবিধা ফেরত পাওয়ার সক্ষমতা অর্জন করতে পারবে। গতকাল সচিবালয়ে টিকফা বিষয়ক আলোচনা শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী ও মার্কিন রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী ২৩শে নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে টিকফা বিষয়ক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ওই বৈঠকে কী কী বিষয় উত্থাপন করা যায় সে বিষয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে, টিকফা বৈঠকে জিএসপি নিয়ে প্রথম প্রশ্ন তোলা হবে। আর টিকফা বৈঠকেই জিএসপি ফিরে পাওয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে। আমি মনে করি টিকফা মিটিংয়ে জিএসপি স্থগিত আদেশ প্রত্যাহার করা হবে। এ ছাড়া টিকফা বৈঠকে ট্রান্স প্যাসিফিক পার্টনারশিপ (টিপিপি) নিয়ে আলোচনা হবে। বাংলাদেশ যাতে টিপিপির অন্তর্ভুক্ত হয় সে বিষয়ে আলোচনা হবে। তিনি বলেন, আমি যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানাই, তাদের সমর্থনের কারণে আমরা মেধাস্বত্ব ছাড় সুবিধা পেয়েছি। তাদের সমর্থন না পেলে এটা হতো না। তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ১ হাজার ৯৭৪ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে। আগের চেয়ে রপ্তানি ১৭ শতাংশ বেড়েছে। তবে এ দুই দেশের মধ্যে কীভাবে আরও বাণিজ্য বাড়ানো যায় সে বিষয়ে আলোচনা করা হবে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট বলেন, আমি বিশ্বাস করি, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়নি। শ্রমিকদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা না থাকার কারণে এটা বাতিল হয়েছে। এ সুবিধা কীভাবে ফিরে পাওয়া যায় ওই বিষয়ে টিকফা বৈঠকে আলোচনা হবে। আমি মনে করি বাংলাদেশ টিকফা বৈঠকের মাধ্যমে হারানো জিএসপি সুবিধা ফেরত পাওয়ার সক্ষমতা অর্জন করবে।