ফিলিস্তিনি মুক্তি আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা ইয়াসির আরাফাতকে হত্যা করেছে ইসরাইল। ফিলিস্তিনের অনুসন্ধানে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আরব নিউজ। এতে বলা হয়েছে, ২০০৪ সালের নভেম্বরে প্যারিসের একটি সামরিক হাসপাতালে মারা যান ইয়াসির আরাফাত। তারপর থেকে অনেক অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে সন্দেহের তীর ছোড়া হয়েছে ইসরাইলের দিকে। বলা হয়েছে তারা হত্যা করেছে আরাফাতকে। এর আসল তথ্য উদ্ধারে ফিলিস্তিনি যে টিম গঠন করা হয়েছে তার প্রধান আবার নতুন করে একই অভিযোগ করলেন। ইয়াসির আরাফাতে ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী ছিল ১১ই নভেম্বর। তাকে হত্যার অভিযোগ ফরাসি বিচারকরা বাতিল করে দিয়েছেন দু’মাস আগে। তারপর এ অভিযোগ করা হলো। ২০০৯ সালেই অভিযোগের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়ভ বরে প্রধান করা হয় তাওফিক তিরাবিকে। তিনি এবার বলেছেন, ইয়াসির আরাফাতকে যে হত্যা করা হয়েছে এ বিষয়ে তথ্য রয়েছে তাদের হাতে। এ হত্যার জন্য দায়ী ইসরাইল। এ হত্যার রহস্য স্পষ্ট করতে আরও কিছুটা সময় প্রয়োজন। উল্লেখ্য, পশ্চিম তীরের রামাল্লাহ শহরে নিজের সদর দপ্তরে থাকা অবস্থায় পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হন ইয়াসির আরাফাত। তারপর তাকে নেয়া হয় প্যারিসের পারসি এলাকায় একটি সামরিক হাসপাতালে। সেখানেই ওই বছর ১১ই নভেম্বর মারা যান তিনি। তার স্ত্রী সুহা আরাফাত ২০১২ সালে ফ্রান্সের একটি আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। এতে বলা হয়, তার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত ও বিচার চান তিনি। একই বছরে অভিযোগের প্রেক্ষিতে রামাল্লায় আরাফাতের কবর খোঁড়া হয়। ফরাসি, সুইস ও রাশিয়ান তদন্তকারীদের তিনটি দলের সামনে কবর থেকে সংগ্রহ করা হয় ৬০টি নমুনা। কিন্তু তাকে হত্যার কোন নমুনা পায় নি আদালত। বহু ফিলিস্তিনি বিশ্বাস করেন যে, আরাফাতকে বিষ প্রয়োগ করেছে ইসরাইল। এ জন্য ইহুদি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তারা বিচার চান।