শেয়ারবাজারে দরপতন অব্যাহত থাকায় বাজার মূলধনের পরিমাণও কমছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন কমেছে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধনের পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ১৪ হাজার ৬৬০ কোটি টাকা। সপ্তাহ শেষে তা নেমে এসেছে ৩ লাখ ৮ হাজার ৪০৭ কোটি টাকায়। বাজার মূলধন কমার এ হার প্রায় ২ শতাংশ। এদিকে মূলধনের পাশাপাশি লেনদেন ও সূচক কমেছে। বিদায়ী সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৯০ কোটি ১৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৫০৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। সে হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ০.৯৬ শতাংশ। বিদায়ী সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৮৪.৩৩ শতাংশ লেনদেন হয়েছে ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে। এ ছাড়া ৩.৫৬ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ১০.৪৮ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত এবং ১.৬৪ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে লেনদেন হয়েছে। সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে অংশ নেয়া অধিকাংশ কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের দর কমেছে। ৩২৫টি ইস্যুর মধ্যে দর বেড়েছে ৬৭টির, কমেছে ২৪৫টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১৩টির দর। বেশির ভাগ কোম্পানির দর কমে যাওয়ায় বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর তিন সূচকেরই পতন হয়েছে। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৬৮.৫৮ পয়েন্ট। সূচক পতনের এ হার ১.৫২ শতাংশ। ৪৫০২.১৬ পয়েন্ট দিয়ে সপ্তাহের লেনদেন শুরু হয়েছিল। সপ্তাহ শেষে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৪৩৩.৫৮ পয়েন্টে। আগের সপ্তাহে সূচক কমেছিল ৬২.৩৩ পয়েন্ট। এ ছাড়া ডিএসই৩০ সূচক ১.৩০ শতাংশ বা ২২.২৮ পয়েন্ট কমে ১৬৮৯.০৮ পয়েন্টে এবং শরিয়াহ সূচক ১.৫৭ শতাংশ বা ১৭.০১ পয়েন্ট কমে সপ্তাহ শেষে ১০৬৭.৪৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সপ্তাহ শেষে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে তিতাস গ্যাস। আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৫.১২ শতাংশ লেনদেন কমে গেলেও শীর্ষস্থান অক্ষুণ্ন রয়েছে এ কোম্পানির। সপ্তাহজুড়ে এ কোম্পানির ১২৯ কোটি ৭১ লাখ ৩২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর বিদায়ী সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৮.৭০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে তিতাস গ্যাসের। অপর দিকে লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইফাদ অটোস। এ কোম্পানির ৮৯ কোটি ৪৪ লাখ ২৪ হাজার টাকা লেনদেন হয়েছে, যা বিদায়ী সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৬ শতাংশ। অপরদিকে ৪৪ কোটি ৮৬ লাখ ৫২ হাজার টাকা লেনদেনের ফলে তৃতীয় স্থানে রয়েছে স্কয়ার ফার্মা। লেনদেনে এর পর রয়েছে যথাক্রমে- সাইফ পাওয়ারটেক, ইউনাইটেড পাওয়ার, কেডিএস এক্সেসরিজ, কাশেম ড্রাই সেল, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, বেক্সিমকো ফার্মা, বেক্সিমকো।