আমাদের মাসিক খরচের অনেক বড় একটা অংশ চলে যায় বিদ্যুৎ বিলের পেছনে। খরচ কমাতে চান আর টাকা জমাতে চান, আপনার এই বিদ্যুৎ বিল কমাতে পারলে কাজটা অনেক সহজ হয়ে যেতে পারে। আর বিদ্যুৎ ব্যবহার কমালে আসলে পরিবেশেরও অনেকটা উপকার হয়ে যায়। দেখে নিন বিদ্যুৎ বিল কমানোর সবচাইতে ভালো কিছু উপায়-
আমরা অনেকেই জানি না ব্যাপারটা, কিন্তু দেয়ালের পয়েন্টে আপনি যদি শুধু শুধু একটা চার্জার লাগিয়ে রাখেন তাহলেও কিছু পরিমাণে বিদ্যুৎ খরচ হয়। দরকার না হলে ওভেন, ফ্যান, পিসি এসব বন্ধ করে রাখুন। আপনার যদি এগুলো ভুলে যাওয়ার অভ্যাস থাকে তাহলে একটা বড় মাল্টিপ্লাগে সবগুলো প্লাগ লাগিয়ে নিন। রাত্রে ঘুমাতে যাবার আগে পুরো মাল্টিপ্লাগ বন্ধ করে দিয়ে ঘুমাতে যান।
বাড়িতে অনেক সময়ে বিদ্যুৎ সংযোগ খারাপ বা ত্রুটিপূর্ণ হবার কারণে আপনার বিদ্যুৎ খরচ বেশি হতে পারে। এক্ষেত্রে পেশাদার কোনো ইঞ্জিনিয়ার ডাকিয়ে বাড়ির সংযোগ চেক করিয়ে নিন। এছাড়াও আপনি কি করলে বিদ্যুৎ খরচ কমাতে পারবেন সে বিষয়ে তিনি পরামর্শ দেবেন।
আপনার বাড়িতে এখনো পুরনো ধাঁচের লাইট বাল্ব থাকলে তা বদলে এনার্জি-সেভার বাল্ব ব্যবহার শুরু করুন। এগুলো ৭৫% পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারে আর এদের আয়ুও হয় ছয়গুণ বেশি।শুধু বাল্ব নয় বরং আরও কিছু ইলেক্ট্রনিকস ব্যবহার করা যেতে পারে যেগুলো কম বিদ্যুতেই চলে। এগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
ওয়াশিং মেশিন ব্যবহারে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ খরচ হয়ে থাকে। খরচ কমাতে চাইলে কখনোই গরম পানির সেটিং ব্যবহার করবেন না। পানি গরম করতে বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়। আর ড্রায়ারে কাপড় শুকানোর বদলে বারান্দা বা ছাদে দড়ি টাঙ্গিয়ে তাতে নেড়ে দেবার ব্যবস্থা করুন। নেহায়েত বর্ষাকাল না হলে ড্রায়ার ব্যবহারের তেমন কোনো যুক্তি নেই।
রেফ্রিজারেটরের কয়েল পরিষ্কার রাখলে তা চলতে বেশি বিদ্যুৎ খরচ করে না। বছরে দুবার করে একে পরিষ্কার করিয়ে নিলে আপনার বিল কম আসবে। একইভাবে আপনার এসির ফিল্টারও পরিষ্কার রাখুন। এটা ময়লা থাকলে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বেশি বিদ্যুৎ খরচ হতে পারে।