৬ বছর পর স্বর্ণপদক কেড়ে নেয়া হলো মার্তা ডোমিঙ্গুয়েজের। কেবল তাই নয়, তাকে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ৪০ বছর বয়সী স্পেনের এই অ্যাথলেট ২০০৯ সালে বার্লিনে স্টিপলচেজ প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জয় করেছিলেন। ২০১৩ সালে তার রক্ত পরীক্ষায় অস্বাভাবিক ফল আসায় তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। কিন্তু স্প্যানিশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন ২০১৪ সালে তাকে নির্দোষ ঘোষণা করে। মার্তা ডোমিঙ্গুয়েজ ওই ফেডারেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। পরে আন্তর্জাতিক অ্যামেচার অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন (আইএএএফ) ও এন্টি ডোপিং এজেন্সি (ডব্লিউএডিএ) আন্তর্জাতিক কোর্ট অব আরব্রিটেশন ফর স্পোর্টস-এ (সিএএস) আবেদন করে। সেই আদালতই সব বিবেচনা করে ডোমিঙ্গুয়েজকে নিষিদ্ধ করলো এবং তার পদক কেড়ে নিল। ডোমিঙ্গুয়েজ তার পরীক্ষা সম্পর্কে আপত্তি তুলেছিলেন। কিন্তু সিএএস বলছে, তার এই ব্যাখ্যা সন্তোষজনক নয়। তাছাড়া আইএএএফ ও ডব্লিুউএডিএ-এর বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রক্তে নিষিদ্ধ ওষুধ পেয়েছে। শুধু বার্লিনের ওই ফলই নয়, ২০০৯-এর ৫ই আগস্ট থেকে ২০১৩ সালের ৮ই জুলাই পর্যন্ত তার সব খেলার ফল বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০১০ সালের ইউরোপিয়ান আসরের ৩০০০ মিটার স্টিপলচেজ-এ রৌপ্য পদকও রয়েছে। বার্লিনের ওই আসরে দ্বিতীয় হওয়া রাশিয়ার ইউলিয়া জারিপোভাও আড়াই বছরের জন্য নিষিদ্ধ রয়েছেন। এখন তার আবেদনের পর্যালোচনা চলছে। ২০০১ ও ২০০৩-এ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ডোমিঙ্গুয়েজের ৫০০০ মিটারের রৌপ্য পদক বহাল থাকবে।