প্রস্তুত কারা কর্তৃপক্ষ। একদিন আগেই আসামীদের শোনানো হয়েছে রিভিউ খারিজের রায়। জানতে চাওয়া হয়েছে প্রাণ রক্ষার একমাত্র খোলা উপায় রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার বিষয়ে। তবে পরিবার ও আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলার অজুহাতে পার হয়েছে একদিন। এখন শুধু অপেক্ষা মানবতা বিরোধী অপরাধে দন্ডিত দুই যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মুজাহিদের সিদ্ধান্ত জানার। শনিবার সকাল দশটার দিকে তাদের সিদ্ধান্ত জানার জন্যে কারাগারে প্রবেশ করেছেন দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জাম খাঁন কামাল জানিয়েছেন শুক্রবার রাত পর্যন্ত আসামীদের প্রাণভিক্ষা চাওয়ার বিষয়ে কোন জবাবে পাননি তিনি। আর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ওই রাতেই জানিয়েছেন প্রাণভিক্ষার বিষয়ে আর ২৬ ঘন্টার বেশি অপেক্ষা করা হবে না। শুক্রবারও গভীর রাত পর্যন্ত সংবাদমাধ্যমকর্মীরা ভীড় করেছেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে। রাত প্রায় দশটা পর্যন্ত সেখানে বাবার সঙ্গে দেখা করার জন্য অপেক্ষা করে ফিরে গেছেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে ও তার আইনজীবীরা। যদিও কারাকর্তৃপক্ষ জানিয়েছে কোন আইনী বিষয় আর অমিমাংসিত না থাকায় আইনজীবীদের দেখা করার সুযোগ নেই। তবে ফাঁসির দিনক্ষন চূড়ান্ত হলে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শেষ দেখা করার সুযোগ পাবেন এই দুই দন্ডিত যুদ্ধাপরাধী। কারাগারে থেকে যাওয়ার পথে সাকা চৌধুরীর ছেলে বলেছেন দেখা তার সঙ্গে দেখা করার আবেদন নিয়ে তারা এসেছিলেন। কারা কর্মকর্তারা না থাকায় বিবেচনা করা হয়নি তার। শনিবার সকালে তারা আবারও আসবেন। ফাঁসির দন্ড কার্যকরে সচিবালয়ে কারকর্মকর্তাদের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে বলে শুক্রবারে জানিয়েছে বাংলানিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম। ওইদিনই কারাগারে ফাঁসির মহড়াও সম্পন্ন হওয়ার কথা জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম। এদিকে এই দন্ড কার্যকরকে ঘিরে দেশজুড়ে নেয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ঢাকাসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ জেলা ও বিভাগীয় শহরগুলোতে বুধবার থেকেই টহল দিচ্ছে বিজিবি। ওইদিন আপিল বিভাগে রিভিউ খারিজের রায় প্রকাশের পর বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ফেসবুক, হোয়াটস এপসহ কয়েকটি ইন্টারনেট ভিত্তিক যোগাযোগ সাইট।