গণ্ডগোলের শুরুটা ম্যাচের আগে থেকেই। সিলেট সুপার স্টার্সের দু’জন বিদেশি ক্রিকেটারের এনওসি বা অনাপত্তিপত্র বিষয়ক জটিলতায় টস হতেই দেরি হয় ২৫ মিনিট। টসের আগে চিটাগং ভাইকিংসের অধিনায়ক তামিম ইকবাল জেনেছিলেন সিলেট সুপার স্টার্স দলে খেলবেন দু’জন (দিলশান মুনাবীরা ও অজন্তা মেন্ডিজ) বিদেশি।
আর বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের নীতিমালার বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত গেলেও টেকনিক্যাল কমিটির সিদ্ধান্তকে যথেষ্ট সম্মানই দেখিয়েছিলেন তামিম। কিন্তু তারপরও তাকে সিলেট সুপার স্টার্সের মালিক পক্ষের রোষের মুখে পড়তে হয়।
খেলার আগে তালিকায় নাম নেই, এমন দু’জন বিদেশি ক্রিকেটার নিয়ে সিলেট সুপার স্টার্স মাঠে নামলে আপত্তি জানান তামিম ইকবাল। আর এটা নিয়েই আলিফ গ্রুপের চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলামের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় তামিমের।
সরাসরি কারও নাম উল্লেখ না করলেও এক রানে ম্যাচ জয়ের পর তামিম জানিয়েছেন এই অভিযোগ। আর নাম না বললেও অভিযোগের তীরটা সিলেট সুপার স্টার্সের স্বত্ত্বাধিকারী ও আলিফ গ্রুপের চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজিমুল ইসলামের দিকেই ইঙ্গিত করে।
তামিম বললেন, ‘আমি তার নাম নিতে চাচ্ছি না। আপনারা তাকে দেখেছেন। আমি তাকে স্যার বলেও সম্বোধন করেছি। এর থেকে বেশি আমি তাকে সম্মান প্রদর্শন করতে পারি না। ওই মানুষই যদি আমাকে আমার বাবা-মা নিয়ে খারাপ কথা বলে তাহলে কিন্তু আমি যা ইচ্ছে তাই করতে পারি। আমি ক্রিকেট খেলতে এসেছি, মা-বাবার নামে গালি শুনতে আসি নাই!’
তামিম যে বেশ ভালই ক্ষেপেছেন সেটা বোঝাই গেল তার কথায়। বললেন, ‘আমি ওই মানুষটার প্রতি যথেষ্ট সম্মান দেখিয়ে তাকে ‘স্যার’ বলে সম্বোধন করেছিলাম। তাকে স্যার, স্যার, স্যার বলেও সম্মান করেছি। সে আমাকে বলেছিল দাঁড়িয়ে তার সঙ্গে কথা বলতে। আমি সেই কাজটিও করেছি। এরপর সে আমার পরিবার নিয়ে খুব বাজে মন্তব্য করে, যেটা খুব অপ্রীতিকর।’
ক্ষোভ প্রকাশ করে তামিম আরও বলেন, ‘মানুষের কাছে অনেক টাকা থাকে, অনেক মানুষের কাছেই থাকতে পারে। কিন্তু এর মানে এই না যে একটা রাস্তার ফকিরকে যেভাবে ট্রিট করবা, ঠিক সেভাবেই একটা জাতীয় দলের খেলোয়াড়কে করবা। তার থেকে হাজার হাজার গুণ বেশি টাকা আইপিএলে। আমি আইপিএলে খেলা সুযোগ পাইনি কিন্তু আমি টিমে ছিলাম। আমি ওখানে থেকে সব দেখেছি তারা কীভাবে একটা ক্রিকেটারকে মূল্যায়ন করেন।’
জানিয়ে রাখা ভাল, নানা রকম নাটক ও পাল্টা নাটকের পর আবারও দুই দলের মধ্যে মধ্যস্ততা হয় এবং চিটাগং দুই বিদেশি ও নয় দেশি খেলোয়াড় নিয়েই সিলেটের বিপক্ষেই মাঠে নামে। তবে এখানেও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চারজন বিদেশি ক্রিকেটার খেলানোর নিয়ম ভঙ্গ করা হয়। উত্তেজনাপূর্ণ এক ম্যাচ শেষে চিটাগং ভাইকিংসের কাছে এক রানে হেরে যায় সিলেট সুপার স্টার্স।