ভারতের ঐতিহ্যবাহী দল কংগ্রেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধীর নাগরিকত্ব নিয়ে নতুন এক বিতর্ক শুরু হয়েছে। ক্ষমতাসীন দল বিজেপির নেতা সুব্রামানিয়াম স্বামী এরই মধ্যে দাবি করেছেন, রাহুল গান্ধী বৃটিশ নাগরিকত্ব চেয়েছিলেন। এ কথা বলার পর রাহুলের নাগরিকত্ব নিয়ে মামলা হয়। তা যায় সুপ্রিম কোর্টে। আজ প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের একটি ব্রাঞ্চ ওই আবেদনকে অসাড় ও তা শুনানি করার মতো গুনাগুন নেই বলে মন্তব্য করেছেন। সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া। এতে আরও বলা হয়, ভারতের পাবলিক ইন্টারেস্ট ল’ বা জনস্বার্থ বিষয়ক আইনে রাহুল গান্ধীর নাগরিকত্ব নিয়ে সিবিআইয়ের তদন্ত দাবি করে একজন আইনজীবি ওই আবেদন করেন। এ নিয়ে আজ সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হয়। এতে কোর্ট ওই আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন। তবে একই সঙ্গে আবেদনকারীকে আবেদন প্রত্যাহার করারও অনুমতি দেননি আদালত। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, রাহুল গান্ধী নির্বাচনী আইন লঙ্ঘন করেছেন কিনা তা দেখার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। উল্লেখ্য, সুব্রামানিয়াম স্বামী দাবি করেছিলেন যে, রাহুল গান্ধী নিজেকে বৃটিশ নাগরিক দাবি করেছেন। তিনি বলেন, কোম্পানি আইনের অধীনে রাহুল গান্ধী নিজেকে বৃটিশ নাগরিক দাবি করেছেন এর স্বপক্ষে আমার কাছে প্রমাণ আছে। এখন তাকেই প্রমাণ করতে হবে যে, তিনি নিরপরাধ। ওদিকে রাহুল গান্ধী নিজে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এ অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য তদন্ত করার কথাও বলেছেন। রাহুল গান্ধী বলেছেন, যদি আমি দোষী প্রমাণিত হই তাহলে আমাকে জেলে ঢোকান। নরেন্দ্র মোদির সমালোচনা করে রাহুল গান্ধী বলেন, মোদি আরএসএস ও বিজেপিতে তার ‘চামচা’দের ব্যবহার করছে আমার বিরুদ্ধে কাদা ছুড়াছুড়িতে। আগেও তারা আমার পিতামাতা, দাদী ইন্দিরা গান্ধীর বিরুদ্ধে এমনটাই করেছিল তারা।