দেশের শীর্ষ ব্যান্ড তারকা ও গীটার লিজেন্ড আইয়ুব বাচ্চু। নিজের ব্যান্ড এলআরবির মাধ্যমে অসংখ্য জনপ্রিয় গান তিনি উপহার দিয়েছেন। একক ক্যারিয়ারেও দারুণ সফল তিনি। বিভিন্ন অ্যালবামে তার গাওয়া গান ধারাবাহিকভাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তবে ব্যান্ড এলআরবির সঙ্গে পারফরম করতেই সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন তিনি। গত কয়েক বছরের মত চলতি বছরেও দেশ ও দেশের বাইরে স্টেজ শো নিয়ে ব্যাপক ব্যস্ত এ তারকা। পাশাপাশি নিজের একক অ্যালবামও প্রকাশ করেছেন। ১লা ডিসেম্বর তার উদ্যোগে চ্যানেল আইয়ের আয়োজনে দ্বিতীয়বারের মত শুরু হচ্ছে ব্যান্ড ফেস্ট। এই ফেস্ট, বর্তমান ব্যস্ততা সহ গানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আজকের ‘আলাপন’-এ কথা বলেছেন আইয়ুব বাচ্চু। তার সাক্ষাতকারটি নিয়েছেন ফয়সাল রাব্বিকীন
কেমন আছেন? দিনকাল কেমন যাচ্ছে?
খুব ভালো আছি। প্র্যাকটিস ও শো এর মধ্যে দিয়েই কাটছে সময়। আবার ব্যান্ড ফেস্টও হচ্ছে। সেটা নিয়েও ব্যস্ততা কম নয়।
আপনার উদ্যোগে দ্বিতীয়বারের মত হচ্ছে ব্যান্ড ফেস্ট। গতবারের তুলনায় এবারের আয়োজন কেমন?
গত বছর চ্যানেল আইয়ের আয়োজনে আমরা প্রথম করি এই ব্যান্ড ফেস্ট। এখানে অনেক ব্যান্ডই তখন অংশ নিয়েছিলো। এবারের আয়োজন আরও ভালো হবে বলেই আমার বিশ্বাস। ১লা ডিসেম্বর বিজয় মাসের প্রথম দিন। তাই সেরকমভাবেই সবাই আমরা পারফরম করবো। আর এবারের উৎসবে ১৩ টি ব্যান্ড অংশ নিচ্ছে। আশা করছি ভালো একটি আয়োজন হবে।
১৩ টির বাইরের ব্যান্ডও কি অংশ নিতে পারবে উৎসবে?
অবশ্যই। আমি সব সময় বলে আসছি যে ১লা ডিসেম্বর আমাদের ব্যান্ড সংগীতের জন্য একটি স্মরণীয় দিন। কারণ ব্যান্ড সংগীতকে উদযাপন করার জন্য এ দিনটি পাচ্ছি আমরা। এর জন্য অনেক ধন্যবাদ জানাই চ্যানেল আইকে। আর এটা দেশের সব ভালো ব্যান্ড ও শ্রোতাদের দিন। তাই এখানে সব ব্যান্ড অংশ নিতে পারবে। সব ব্যান্ডের জন্য এ উৎসবের দরজা উন্মুক্ত। আমি বলবো ব্যান্ড ফ্যাস্টে পারফরম করা সব ব্যান্ডের অধিকার। সুতরাং সব ব্যান্ডকে ১লা ডিসেম্বর সু-স্বাগতম।
অস্ট্রেলিয়া সফর শেষ করে দেশে ফিরেছেন কিছুদিন আগে। তার আগে নিউইয়র্ক শো করেছেন দীর্ঘ সময় পর। এ সম্পর্কে কিছু বলুন।
অস্ট্রেলিয়ার শো অনেক ভালো হয়েছে। সেখানকার শ্রোতারা অনেক উপভোগ করেছে শো। আমরা এলআরবির প্রত্যেক সদস্যই খুব উপভোগ করেছি। আর তার আগে ১১ বছর পর নিউইয়র্কে শো করেছি আমরা। অনেক দারুণ অভিজ্ঞতা ছিলো। সবাই খুব আবেগপ্রবণ হয়ে আমাদের শো উপভোগ করেছেন।
এখন কি নিয়ে ব্যস্ত এলআরবি?
প্র্যাকটিস আর শো নিয়ে চলছে ব্যস্ততা। বিপিএল-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পারফরম করেছি আমরা। সামনেও কিছু শো রয়েছে। এছাড়া দেশের বাইরেও যাওয়ার কথা রয়েছে সামনে। তবে আপাতত মনযোগ দিতে চাই ব্যান্ড উৎসবের প্রতি। কারণ এটি ব্যান্ড সংগীতের একটি স্মরণীয় দিন। এ দিনটিকে আমরা প্রতি বছর পালন করতে চাই। তারুণ্য এবারও এ দিনটিতে ব্যান্ড সংগীতের সুরের মূর্ছনায় ভাসবে বলে আমার বিশ্বাস।
আপনার একক অ্যালবাম ‘জীবনের গল্প’ প্রকাশ পেয়েছে চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে। নতুন অ্যালবামের পরিকল্পনা কি?
‘জীবনের গল্প’ অ্যালবামের নিজের জীবনের গল্পের কথাই গানে গানে বলেছি। গানগুলোর সাড়াও পেয়েছি অনেক। নতুন গানের কাজ করে যাচ্ছি আমি। তবে অ্যালবাম কবে নাগাদ প্রকাশ করবো সেটা বলতে পারছি না।
সংগীতের শুরু থেকেই পারিবারিক উৎসাহ পেয়ে আসছেন। এরই মধ্যে আপনার ছেলে তাজোয়ারও গীটারে তার পারদর্শিতা দেখিয়েছে। সামনে কি সন্তানদেরও সংগীতে আনার ইচ্ছে রয়েছে?
এটা সম্পূর্ণ ওদের উপর নির্ভর করছে। ওরা যে জায়গাটিতে ক্যারিয়ার গড়তে চায় সেদিকেই গড়বে। তবে এখন তাজোয়ার অনেক ভালো গীটার প্লে করছে। এটা আমার জন্য দারুণ ভালোলাগার একটি ব্যাপার। দেখা যাক সামনে কি হয়।