ম্যাচটা অনেকদিন পর্যন্ত মনে রাখবেন দর্শকরা। টানা চার ম্যাচে পরাজিত হওয়া সিলেট সুপার স্টার্স পঞ্চম ম্যাচেও ছিলো হারের পথে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের আবু হায়দার রনি ইনিংসের শেষ ওভারে পরপর দুই উইকেট তুলে নিলেও, চতুর্থ বলে নাজমুল হোসেন মিলনের ছয়ে চার উইকেটের প্রথম জয়ের স্বাদ পায় সিলেট সুপার স্টার্স। ১৬৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা একেবারে খারাপ করেনি মুশফিকুর রহিমের সিলেট সুপার স্টার্স। ৩২ রানে মুমিনুল হক ফিরে গেলে দিলশান মুনাওয়ারাকে সঙ্গ দিতে নামেন রবি বোপারা। কিন্তু ২০ রান তুলতে না তুলতেই ৫২ রানের সময় আবু হায়দার রনির বলে ফেরেন তিনি। আউট হওয়ার আগ পর্যন্ত ২৬ বলে ৩৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে গেছেন। রবি বোপারাও খেলেছেন ৫০ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। খরচ করেছেন ৩৮ বল। এরপরই মুয়াওয়ারার পরই উইকেটে আসেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তিনিও ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছেন। ৩১ বলে করেছেন ৪৭ রান। তবে বল হাতে সিলেট সুপার স্টার্সকে ভুগিয়েছে আবু হায়দার রনি। একাই নিয়েছেন চার উইকেট। এছাড়া নুয়ান কুলাসেকারা নিয়েছেন দুইটি উইকেট। এর আগে টসে হেরে কুমিল্লাকে আগে ব্যাট করতে পাঠায় সিলেট। অন্যদিকে,ব্যাট হাতে কুমিল্লার শুরুটা দেখে মনে হচ্ছিলো টসে জিতলে তারা আগে ব্যাটিংই নিতো। লিটন দাস ও জাইদির পারফরম্যান্সের সঙ্গে রানের গতি বাড়িয়েছেন আরেক ওপেনার ইমরুল কায়েস। ৪৫ বলে ৪৮ রান করে লিটন দাসের সঙ্গে ওপেনিংয়ে ৯০ রানের জুটি গড়েন তিনি। অষ্টম ওভারে পরপর দুই বলে দুইটি উইকেট হারালে কিছুটা বিপাকে পড়ে কুমিল্লা। চতুর্থ উইকেটে দলের হাল ধরেন জাইদি। এবারের আসরে প্রথম ম্যাচে সুযোগ পাওয়া অলোক কাপালি মাত্র দুই রানেই রান আউটের ফাঁদে পড়ে ফিরেছেন। তবে জাইদিকে শেষমুহুর্তে দারুণভাবে সঙ্গ দিয়েছেন দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ৭ বলে ১০ রান শেষ সময়ে দলের মোট রানে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখে। সিলেট সুপার স্টার্সের হয়ে কুমিল্লাকে বেশ ভুগিয়েছেন দলের ইংলিশ বোলার রবি বোপারা। অলোক কাপালির রান আউট বাদ দিলে,সবমিলিয়ে চারটি উইকেট হারায় কুমিল্লা। এর সবকটিই ঝুলিতে ভরেছেন তিনি। চার ওভারে চার উইকেট নিতে খরচ করেছেন মাত্র ১৮ রান।