বেনাপোল প্রতিনিধি (যশোর): বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে জোর পূর্বক পাসপোর্ট যাত্রীদের ব্যাগ তল্লাশী নিয়ে বিজিবি কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে কাস্টমস সদস্যরা। এনিয়ে উভয়ের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সোমবার দুপুরে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ভারত থেকে ছেড়ে আসা মৈত্রী বাস সৌহার্দ্য পরিবহনের পাসপোর্ট যাত্রীদের বিজিবি কর্তৃক ব্যাগ তল্লাশীর সময় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার দুপুরে কলকাতা থেকে সৌহার্দ্য পরিবহনের (ডব্লিউ বি ২৩ বি- ৯২২৩) নাম্বারের একটি মৈত্রী বাস পাসপোর্ট যাত্রী নিয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে আসে। এসময় কাস্টমস কর্মকর্তারা গাড়িতে থাকা যাত্রীদের ব্যাগ তল্লাশী শুরু করে। এরই মধ্যে বিজিবি গোয়েন্দা সদস্যরা অবৈধ মালামাল আছে দাবী করে জোর পূর্বক বাসে উঠে যাত্রীদের ব্যাগ তল্লাশী চালায়। খবর পেয়ে কাস্টমস কর্মকর্তারা বিজিবি সদস্যদের গাড়ি থেকে নামিয়ে আমড়াখালী বিজিবি চেকপোষ্টে গিয়ে তল্লাশীর কথা জানায়। এনিয়ে উভয়ই হাত উচিয়ে উচ্চ বাক্য বিনিময়ে হয়। পরে কাস্টমস সদস্যরা বাসে যাত্রীদের সাথে ব্যাগ তল্লাশী শেষে ছেড়ে দিলে বিজিবি সদস্যরা কাস্টমসের ১০ গজ দুরে আবার বাস থামিয়ে ১ ঘন্টা ধরে সকল যাত্রীদের ব্যাগ গণ তল্লাশী চালায়। তবে এসময় গাড়িতে কোন যাত্রীর কাছে অবৈধ মালামাল পায়নি।
বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস সুপার সরনিকা চাকমা বলেন, পাসপোর্ট যাত্রীর অবৈধ মালামাল নিয়ে বিজিবির কাছে সুনিদিষ্ট কোন অভিযোগ থাকলে তারা কাস্টমসকে জানাবে। কাস্টমস বিজিবির কাজে সহযোগীতা করবে। কিন্তু অবৈধ ভাবে কাস্টমসের কাজে জোরপূর্বক হস্তক্ষেপে তাদের বাঁধা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বিজিবির কোন স্বজন আসলে তারা ওই যাত্রীর সাথে থাকা ব্যাগেজ কাস্টমসে তল্লাশী না করিয়ে পার করে নিয়ে যাচ্ছে। আর কোন অনিয়ম না থাকলেও বিজিবি সদস্যরা সাধারণ যাত্রীদের ব্যাগ জোর পূর্বক কাম্পে নিয়ে তল্লাশী করছেন। এটা হয়রানি ও ক্ষমতার অপব্যবহার ছাড়া আর কিছু না।
বেনাপোলে অবস্থিত সোহাগ পরিবহনের ম্যানেজোর শহিদুল ইসলাম বলেন, যাত্রীর ব্যাগ তল্লাশী নিয়ে বিজিবি ও কাস্টমসের মধ্যে দ্বন্ধের কারনে প্রতিনিয়ত পাসপোর্ট যাত্রীরা বিড়ম্বনায় শিকার হচ্ছে। ভারত থেকে ফেরার সময় কাস্টমস ব্যাগ তল্লাশীর পর সুনিদিষ্ট অভিযোগ ছাড়া বিজিবি সদস্যরা আমড়াখালী বিজিবি চেকপোস্টে বাস দাড় করিয়ে সকল যাত্রীর ব্যাগ ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে তল্লাশী করছে। এছাড়া ইমিগ্রেশনে ঢোকার আগ মুহূতে ও পরে পূনরাই তল্লাশী করছে। এতে একদিনে যাত্রীদের সময় নষ্ঠ হচ্ছে অণ্যদিকে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সাধারণ যাত্রীদের হয়রানির বিষয়টি উধ্বর্তন কর্মকর্তাদের গুরুত্ব সহকারে দেখার আহবান জানান তিনি।
এব্যাপারে বেনাপোল চেকপোস্ট বিজিবি ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার জালাল হোসেন জানান, কাস্টমস সদস্যরা যাত্রীদের ব্যাগ তল্লাশী করে ছেড়ে দেওয়ার পরেও তাদের অনেকের ব্যাগে তল্লাশী করে অতিরিক্ত মালামাল পাওয়া যাচ্ছে। অভিযোগ পেয়ে উধ্বর্তন কর্মকর্তার আদেশে সোহার্দ্য পরিবহনের বাসে যাত্রীদের ব্যাগ তল্লাশী করা হয়েছিল। তবে কোন মালামাল পাওয়া যায়নি। সন্দেহ হলে সীমান্তের ৮ কিলোমিটারে মধ্যে তল্লাশীর নির্দেশনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রতিবেদক: রুবেল বেনাপোল