1. ccadminrafi@gmail.com : Writer Admin : Writer Admin
  2. 123junayedahmed@gmail.com : জুনায়েদ আহমেদ, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর : জুনায়েদ আহমেদ, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর
  3. swadesh.tv24@gmail.com : Newsdesk ,স্বদেশ নিউজ২৪.কম : Newsdesk ,স্বদেশ নিউজ২৪.কম
  4. swadeshnews24@gmail.com : নিউজ ডেস্ক, স্বদেশ নিউজ২৪.কম, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর: : নিউজ ডেস্ক, স্বদেশ নিউজ২৪.কম, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর:
  5. hamim_ovi@gmail.com : Rj Rafi, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান : Rj Rafi, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান
  6. skhshadi@gmail.com : শেখ সাদি, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান: : শেখ সাদি, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান:
  7. srahmanbd@gmail.com : এডমিন, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান : এডমিন, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান
  8. sumaiyaislamtisha19@gmail.com : তিশা, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান : তিশা, সম্পাদনায়-সাইমুর রহমান
এইচআইভি বা এইডস: বাঁচতে হলে জানতে হবে! - Swadeshnews24.com
শিরোনাম
ওমরাহ পালনে সস্ত্রীক সৌদি যাচ্ছেন মির্জা ফখরুল ৭৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম, সারা দেশে টানা তাপপ্রবাহের রেকর্ড দেশে নয়, বিদেশে নির্জন দ্বীপে বসছে শাকিব খানের বিয়ের আসর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের উপ-অপ্যায়ন সম্পাদক হলেন সোহেল চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্যপদ ফিরে পাচ্ছেন জায়েদ খান শাকিবের তৃতীয় বিয়ে, মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা সোনার দাম আরও কমল রাজধানীতে পানি, স্যালাইন ও শরবত বিতরণ বিএনপির জায়েদ খানের এফডিসিতে ফেরা হবে কিনা, জানালেন ডিপজল কক্সবাজার জেলায় কত রোহিঙ্গা ভোটার, তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট সিনেমা হলে দেওয়া হচ্ছে টিকিটের সঙ্গে ফ্রি বিরিয়ানি ঢাকায় বড় জমায়েত করতে চায় বিএনপি ১৫ বছর পর নতুন গানে জেনস সুমন যশোরে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জমি দখলের অভিযোগ

এইচআইভি বা এইডস: বাঁচতে হলে জানতে হবে!

  • Update Time : মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৫
  • ৩২১ Time View

hiv-ribbon(সাখাওয়াৎ আলম চৌধুরী, অতিথি লেখক) এইডস নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসের এক তারিখে বিশ্ব এইডস দিবস পালিত হয়। গত তিন দশকে আড়াই কোটিরও বেশি মানুষ এইডস-এর কারণে প্রাণ হারিয়েছে। বর্তমান বিশ্বে প্রতিবছরই প্রায় ২৭ লাখ লোক এইচআইভি বা এইডসে আক্রান্ত হচ্ছে।

এইচআইভি/এইডস বিষয়ক জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠান ইউএনএইডসের ২০১৪ সালের  প্রতিপাদ্য বিষয় ছিলো  ‘ক্লোজ দ্য গ্যাপ’। তবে বাংলাদেশ ২০১১ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত এইডস দিবস পালনে ‘এইচআইভি সংক্রমণ এবং এইডস মৃত্যু নয় আর, বৈষম্যহীন পৃথিবী গড়বো সবাই এই আমাদের অঙ্গীকার’ – এই প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে। দিবসটি পালনের মধ্য দিয়ে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এইডস-এর প্রতীক হিসেবে নির্ধারণ করা হয় লালফিতা বা রিবন। লালফিতার মাধ্যমে এইচআইভি/এইডস আক্রান্তদের প্রতি সহমর্মিতাসহ প্রতিরোধের অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।

এইডস

Acquired Immune Deficiency Syndrom এর সংক্ষিপ্ত রূপ হল AIDS (এইডস)। আর Human Immunodeficiency Virus এর সংক্ষিপ্ত রূপ হল HIV (এইচআইভি)। এইচআইভির কারনে এইডস হয়। মানুষের শরীরে রোগ বা সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য যে স্বাভাবিক ক্ষমতা থাকে তা  এইচআইভি ক্রমান্বায়ে ধ্বংস করে দেয়। ফলে ঐ ব্যক্তি যে কোন সময় যে কোন রোগে আক্রান্ত হ’তে পারে। এখন পর্যন্ত এইডস এর কোন প্রতিষেধক টিকা আবিষ্কৃত হয়নি। তাই এইডস হলে মৃত্যু নিশ্চিত। বর্তমান সর্বাধুনিক বিশ্বে বিজ্ঞানীদের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে এইডস-এর প্রতিষেধক আবিষ্কার করা। ১৯৮১ সালের ৫ জুন যুক্তরাষ্ট্রে সর্বপ্রথম এইডস শনাক্ত করা হয় এবং বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ১৯৮৯ সালে এইডস শনাক্ত করা হয়।

এই ভাইরাসের ক্রিয়াকর্ম

এই ভাইরাস রক্তের লিম্ফো সাইট রক্ত কনিকাগুলোকে খেয়ে ফেলে। যার ফলে শরীরে মধ্যে এক সময় আর কোন রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা থাকে না। আর রক্তের লিম্ফোসাইড রক্ত কনিকার কাজ হলো রক্তের রোগ জীবানু বা ব্যকটেরিয়াকে ফ্যাগোসাইটোসিস সিষ্টেমে খেয়ে ফেলা। অর্থাৎ যে রক্ত কনিকা আমাদের শরীরে রোগ জীবানু খেয়ে ফেলে, এই ভাইরাস সেই রোগ প্রতিরোধক কনিকাগুলোকেই খেয়ে ফেলার ফলে ভাইরাস আক্রান্ত দেহে রোগ আর ভাল হয় না।

এই ভাইরাসের বাসস্থান

এইচ আইভি ভাইরাস শরীরের বিভিন্ন জলীয় অংশে বাস করে। যেমন- রক্ত, পুরুষের বীর্য, মেয়েদের যৌন রস, বুকের দুধ, মুখের লালা, ঘাম ও চোখের পানিতে। তবে মুখের লালা, ঘাম ও চোখের পানিতে এই ভাইরাস খুবই কম থাকে যে কারণে সেটা দিয়ে নতুন করে কেউ সংক্রমিত হতে পারে না।

কি কারণে এইডস হয়

এইডস-এর প্রধান কারণ হচ্ছে অনিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন এবং ধর্মীয় অনুশাসন না মেনে চলা। এইডস ভাইরাস প্রধানত রক্ত, অবৈধ যৌনমিলন, বুকের দুধ এই ৩টি মাধ্যমে ছড়ায়। এছাড়াও যেসব কারণে এইডস হ’তে পারে সেগুলো হচ্ছে- অবাধ যৌন মিলন, পতিতালয়ে গমন, কোন প্রাণীর সাথে যৌন মিলন, সমকামিতা ইত্যাদি।

এইডস এর লক্ষণসমূহ

এইডস -এর নির্দিষ্ট কোন লক্ষণ নেই। তবে, এইডস আক্রান্ত ব্যাক্তি অন্য যে রোগে আক্রান্ত হয় সে রোগের লক্ষণ দেখা যায়। এই গুলোর মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হচ্ছে:
(ক) শরীরের ওজন অতি দ্রুত হ্রাস পাওয়া
(খ) দীর্ঘদিন ধরে পাতলা পায়খানা হওয়া।
(গ) ঘন ঘন জ্বর হওয়া বা রাতে শরীরে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া।
(ঘ) অতিরিক্ত অবসাদ অনুভব করা ।
(ঙ) শুকনা কাশি ।
(চ) মুখে বা গলায় ঘা হতে পারে, সেই সাথে  বমিবমি ভাব বা বমিও হতে পারে।
(ছ) মাথা, চোখ এবং মাংসপেশিতে ব্যথা করা।
(জ) শরীর ম্যাজ ম্যাজ করা।
(ঝ) শরীরের ত্বকের উপরে ওপর নানা ধরনের ফুসকুড়িঁ ও ঘা দেখা যাওয়া ।
(ঞ) নাক-কান-গলার সমস্যা।
(ট) ঠোঁট ও যৌন অঙ্গের চারপাশে ফোসকা ও ঘা হওয়া এবং তা ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়া ইত্যাদি।

শিশুদের ক্ষেত্রে এইচআইভি’র লক্ষণ

ওজন বৃদ্ধি না পাওয়া, স্বাভাবিক বৃদ্ধি না হওয়া, হাঁটতে সমস্যা, মানসিক বৃদ্ধি দেরীতে হওয়া, কানের সংক্রমণ, নিউমোনিয়া এবং টনসিলের মতো সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যার প্রকট আকার ধারণ করা। উল্ল্যেখ যে কারো মধ্যে উপরোক্ত একাধিক লক্ষণ দেখা দিলেই তার এইডস হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া যাবে না। তবে, কোন ব্যক্তির এসব লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে অভিজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

কিভাবে সংক্রমিত হয়

এইচআইভি মানবদেহের কয়েকটি নির্দিষ্ট তরল পদার্থে (রক্ত, বীর্য, বুকের দুধ) বেশি থাকে। ফলে, মানব দেহের এই তরল পদার্থগুলোর আদান-প্রদানের মাধ্যমে এইচআইভি ছড়াতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে যে যে উপায়ে এইচআইভি ছড়াতে পারে তা হল:
১) এইচআইভি/এইডস আক্রান্ত রোগীর রক্ত সাধারণ কোন ব্যাক্তির দেহে দান করলে।
২) আক্রান্ত ব্যাক্তি কতৃক ব্যবহৃত সুচ বা সিরিঞ্জ অন্য কোন ব্যাক্তি ব্যবহার করলে।
৩) আক্রান্ত ব্যক্তির কোন অঙ্গ অন্য ব্যক্তির দেহে প্রতিস্থাপন করলে।
৪) এইচআইভি/এইডস আক্রান্ত মায়ের মাধ্যমে (গর্ভাবস্থায়, প্রসবকালে বা সন্তানের মায়ের দুধ পানকালে)।
৫) অনৈতিক ও অনিরাপদ দৈহিক মিলন করলে।

এইডস সংক্রমিত হয় না

এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তির সাথে প্রাত্যহিক স্বাভাবিক মেলামেশা যেমন- স্পর্শ, করদর্মন, কোলাকুলি ইত্যাদির মাধ্যমে এইডস সংক্রমিত হয় না। এছাড়াও এক সাথে খেলাধুলা করলে কিংবা পুকুরে সাঁতার কাটলে, বাতাস, পানি বা খাবারের মাধ্যমেও ছড়ায় না। আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে খাওয়া দাওয়া করলে, আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত চায়ের কাপ, বাসন, কাপড়চোপড়, তোয়ালে কিংবা একই টয়লেট ব্যবহার করলেও এইডস হওয়ার সম্ভবনা নেই। এমনকি কোলাকুলি করলে বা এই থালায় ভাত খেলেও এইডসের সম্ভাবনা নেই। থুথু, কাশি বা হাঁচির মাধ্যমে ও এইডস ছড়ানোর শঙ্কা নেই। এমনকি মশার কামড়েও। তবে কোন ব্যক্তির দাঁতের মাড়ি বা মুখগহ্বরে যদি কোনো ক্ষতস্থান থাকে এবং ঐ ব্যক্তি এইডস হয়েছে এমন কোন মানুষের সঙ্গে গভীর চুম্বনে মিলিত হয় তাহলে এইচআইভি দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। উপরোল্লিখিতভাবে রক্তে এইচআইভি সংক্রমিত হয় না, যদিও এ সংক্রান্ত অনেক বিভ্রান্তি সাধারণ মানুষের মধ্যে এখনো বিদ্যমান।

সতর্কতা

ক) কারো রক্তের প্রয়োজন হলে পরীক্ষা করে বিশুদ্ধ রক্ত নিতে হবে। যাতে রক্তে কোন প্রকার ক্ষতিকর উপাদান না থাকে। কেননা এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত গ্রহণ করলে এইডস হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে।
খ) একটি সিরিঞ্জ একাধিক ব্যক্তির জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়। কেননা এতে করে বিভিন্ন সংক্রামক রোগ ছড়াতে পারে। এইডস আক্রান্ত ব্যক্তিকে যে সিরিঞ্জ দিয়ে ইনজেকশন করা হয়েছে সে সিরিঞ্জ দিয়ে কোন সুস্থ মানুষকে ইনজেকশন করলে তারও এইডস হওয়ার সম্ভবনা থাকে। সেজন্য ঐ সিরিঞ্জ দিয়ে কাউকে ইনজেকশন দেয়া যাবে না।
গ) আত্মসংযমী হতে হবে ও অবাধ মেলামেশা বন্ধ করতে হবে। স্বামী বা স্ত্রী ছাড়া অন্য কোনও নারী বা পুরুষের সঙ্গে দৈহিক মিলন করা যাবেনা। একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে যৌনমিলন অবশ্যই পরিত্যাজ্য। যৌনমিলনের সময় প্রয়োজনে কনডম ব্যবহার করতে হবে।
ঘ) অন্য মানুষের দাড়ি কামানোর ব্লেড, ক্ষুর ব্যবহার করা যাবেনা, সেই মানুষ যত আপনজনই হোক না কেন।
ঙ) মাদক গ্রহন করার অভভাস থাকলে তা অতি অবশ্যই বর্জন করতে হবে।
চ) এইডস আক্রান্ত মহিলাদের গর্ভধারণ করা উচিত হবেনা। কেননা তাতে সন্তানেরও এইডস নিয়ে জন্মাবার প্রবল সম্ভাবনা থাকে।
ছ) অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে ডাক্তারদের সতকর্তা অবলম্বন করতে হবে। যন্ত্রপাতি ভালভাবে পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে। এইডস কখনো বলে কয়ে হয় না। অন্য কেউ এই রোগে আক্রান্ত হতে পারলে আপনিও শিকার হতে পারেন এই রোগের। অথচ সামান্য সতর্কতা ও এই রোগ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান একজন সচেতন মানুষকে দিতে পারে এই রোগ থেকে সর্বোচ্চ সুরক্ষা।

কারা আক্রান্ত বেশি হয়

উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েরা এইডস-এ বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। বিশেষ করে যাদের মধ্যে ধর্মীয় অনুশাসন কম। পৃথিবীতে যত মানুষ এইডস-এ আক্রান্ত হচ্ছে তার ৫০% হচ্ছে ১৫-২৪ বছর বয়সী তরুণ-তরুণী। মাদকাসক্ত, মহিলা ও পুরুষ যৌনকর্মী ও তাদের খদ্দের এবং অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনকারীরা এইডসে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। তবে সবচেয়ে যেভাবে এইডস বিশ্বময় ছড়িয়ে যাচ্ছে তার একমাত্র কারণ অবাধ ও অবৈধ যৌনমিলন।

প্রবাসীদের বিশেষ সতর্কতা

এইডসের মতো ভয়াবহ রোগের ক্ষেত্রে প্রবাসীদের বিশেষ সতর্ক হওয়া উচিত। কেননা এই আরব আমিরাতে হাজারো দেশের লক্ষ কোটি অভিবাসীর বসবাস। কে কখন কোন দেশ থেকে এই দেশে আসে তা বলা মুশকিল। তাছাড়া আরব আমিরাতে যে হারে আফ্রিকা থেকে অভিবাসী আসছে, তারা যে এইডসের জীবাণু বহন করছে না তা হলফ করে বলা যাবে না। কেননা বিমানবন্দরে তড়িৎ এইডসের পরীক্ষা করা হয় না। যার ফলে একজন এইচআইভি জীবাণু বহনকারী খুব সহজেই এদেশে তার জীবাণু ছড়িয়ে দিতে পারে। এছাড়া যে বিশেষ কারণে প্রবাসীদের সতর্ক থাকা উচিত তা হলো -এই দেশে যৌনকর্মী খুব সহজেই পাওয়া যায়। আমাদের কিছু প্রবাসী ভাইয়েরা নিয়মিত দেশে না যেতে পারার কারণে, আর কিছু ভাই নিম্ন নৈতিকতার কারণে অনেকেই বিভিন্ন যৌনকর্মীর সাথে অবৈধ যৌন মিলনে লিপ্ত হন। শুধু তাই নয় এই দেশে যৌন সামগ্রীর অপ্রতুলা বা ক্রয়মূল্য বেশি হওয়ার কারণেও অনেকেই অনিরাপদ যৌনকর্মে লিপ্ত হন নির্দ্বিধায়। যার ফল কখনোই শুভ নয়। এইদেশের অধিকাংশেরও বেশি যৌনকর্মীদের দেশ আফ্রিকা মহাদেশে। যেখানে সর্দি কাঁশির মতো এইডস ছড়িয়ে আছে। তাই আমাদের প্রবাসীদের উচিত ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলে নৈতিক জীবনযাপন করা। একান্ত অপারগ হলে নিরাপদ যৌনমিলন করা। কেননা আপনি কখনোই বুঝতে পারবেন না আপনার এইডস হয়েছে। এই রোগের সুনির্দিষ্ট কোন লক্ষণ নেই। আপনি নিজেকে সুস্থ মনে করে দেশে যাবেন। অবিবাহিত হলে বিয়ে করবেন, অথবা বিবাহিত হলে এই রোগ আপনার মাধ্যমে প্রথমে আপনার স্ত্রীর কাছে পরবর্তীতে স্ত্রী থেকে আপনার সন্তানের কাছে পৌঁছাবে। এইভাবেই আপনি আপনার নিজের অজান্তেই দেশে এই রোগের জীবাণু ছড়িয়ে দিয়ে নিজের, পরিবারের, সমাজের সর্বোপরি দেশ ও জাতির ক্ষতির কারণ হবেন। সুতরাং শুধু নিজের নয়, পুরো পরিবার, সন্তান এবং দেশ ও জাতির ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে আমাদের উচিত হবে প্রবাসে সকল প্রকার অবৈধ ও অনিরাপদ যৌনকর্ম থেকে নিজেদের বিরত রাখার।

বিশ্ব এইডস পরিস্থিতি

জাতিসংঘের এইডস সংস্থা UNAIDS-এর মতে, সমগ্র আফ্রিকা মহাদেশ, পূর্ব ইউরোপ এবং ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে এইডসের বিস্তার বেশী হচ্ছে। এইডস আক্রান্ত শীর্ষ ৫টি দেশ হচ্ছে- সোয়াজিল্যান্ড (২৭.১%), বতসোয়ানা (২৫.৯%), লেসোথো (২৩.২%), দক্ষিণ আফ্রিকা (১৮.১%), নামিবিয়া (১৫.৩%)। উপরের ৫টি দেশের সবকটি হচ্ছে আফ্রিকা মহাদেশের। আমাদের প্রতিবেশি দেশ ভারতে এইডস রোগীর সংখ্যা ৫৭০০০০০ (প্রায়)  জনের বেশি, মিয়ানমারে-৩৩৬,০০০ (প্রায়) থাইল্যান্ডে-৫৬০,০০০ (প্রায়), পাকিস্তানে-৮০,০০০ (প্রায়) , নেপালে-৭৫,০০০ (প্রায়), শ্রীলংকায়-৫০০০ (প্রায়), চীনে-৬৫০,০০০ জন (প্রায়)।

বাংলাদেশের এইডস পরিস্থিতি

বাংলাদেশ একটি মুসলিম প্রধান দেশ। আমাদের দেশের মানুষ ধর্মীয় জীবন, পারিবারিক জীবন এবং নৈতিক মূল্যবোধে এখনো অভ্যস্ত। তার পরেও পতিতালয়, যৌনতা বিপণনের বিভিন্ন ক্ষেত্র, জেলখানা, রিকশাচালক, ট্রাকচালক, গার্মেন্ট কর্মী, ইনজেকশনের মাধ্যমে মাদক ব্যবহারকারী, প্রবাসী, বিদেশ ভ্রমণকারী, বিদেশি পর্যটকসহ নানাবিধ কারণে আমাদের দেশে এইডস রোগের হার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

অন্যদিকে এইডসপ্রবণ দেশ যেমন ভারত, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড আমাদের প্রতিবেশী হওয়ার ফলে বাংলাদেশে এইডস প্রতিরোধের বিষয়টি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পরিণত হচ্ছে। যদিও জাতিসংঘের শ্রেণিকরণে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ন্যাসনট বা এইডস প্রভাবিত দেশ হিসেবে চিহ্নিত। বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ১৯৮৯ সালে এইডস শনাক্ত করা হয় এবং ইউএনএইডসের তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশে এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তির অনুমিত সংখ্যা প্রায় দশ হাজার ৫০০। আর সরকারি হিসেব মতে, ২০১৩ সাল পর্যন্ত ৩ হাজার ২৪১ জনকে শনাক্ত করা গিয়েছে। এ পর্যন্ত এইডসের কারণে মারা গেছে ৪৭১ জন। বাংলাদেশে এইচআইভি-এইডস রোগীর সংখ্যা পার্শ্ববর্তী দেশের তুলনায় অনেক কম। এই সংখ্যা শূন্য দশমিক এক শতাংশেরও কম।

এই পর্যন্ত আবিষ্কৃত এইডসের ঔষধ সমূহ

ক) কোয়ার্ড নামের নতুন ১টি ওষুধ এইডস রোগীদের  বাচাঁর আশার আলো দেখাচ্ছে। আমেরিকাতে এই কোয়ার্ড নিয়ে ব্যাপক ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্প্রতি শেষ হয়েছে। তাতে অনেক রোগী বেশ উপকৃত হয়েছে। এই ট্রায়ালে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন-যত রোগীর ক্ষেত্রে এই ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছে তার মধ্যে ৮৮% সফল হয়েছে।

খ) বিশ্বব্যাপী এইডসের টিকা ও নির্মূলের ওষুধ আবিষ্কারের যেসব দেশ সাফল্যের দ্বার প্রান্তে পৌছে গেছে তার মধ্যে আছে চীন, ইসলামী ইরান, কানাডা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইত্যাদি। যেহেতু এইচ আইভি ভাইরাসটি প্রথমত আফ্রিকার বানর থেকে কোন ভাবে মানুষের দেহে এসেছে, তাই এটাকেই সামনে রেখে ইরান বানরের রক্ত থেকেই এইডসের ওষুধ আবিষ্কারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন চীন ২০০৫ সালে গুটি বসন্তের টিকা থেকে এইডসের ১টি ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে। ২০০৭ সালেই এর প্রয়োগিক পরীক্ষা শুরু হয় যার গবেষণা এখনো চলছে। তবে আশার কথা হল- চীন ও ইরান এইডসের ওষুধ আবিষ্কারের গবেষণা সবার থেকে এগিয়ে আছে।

গ) উদ্ভিদের মধ্যে প্রথম বারের মত পাওয়া গেল এইডস প্রতিরোধক প্রোটিন। এই উদ্ভিদের নাম- “নিকোটিয়ানা বেনথামিয়ানা”। এটা তামাক জাতীয় উদ্ভিদ। এর মধ্যে বিজ্ঞানীরা যে প্রোটিন পেয়েছেন- তা এইচআইভির বৃদ্ধি প্রতিরোধ করতে পারে। বিজ্ঞানীরা ৪৬০ বর্গ মিটার জমি চাষ করে ৬০ গ্রাম ওজনের জিআরএফটি উৎপাদন করেছেন। যা দিয়ে প্রায় ১০ লাখ মাইক্রোবাইসাইড ডোজ তৈরি করা যাবে। এটাই প্রথম গাছ দিয়ে তৈরি হচ্ছে এইডসের ওষুধ।

ঘ) সম্প্রতি আমেরিকার বিজ্ঞানীরা এমন একটি টিকা আবিষ্কার করেছেন যা বানরের দেহে এইচআইভি যা এইডসের সমতুল্য ভাইরাস সংক্রমণের বিরুদ্ধে কার্যকরী হয়েছে। বানরের দেহে এই ভাইরাসের নাম এসআইভি ভাইরাস। এটা এইডসের চেয়েও ১০০ গুণ শক্তিশালী। কিন্তু এই ভাইরাসে আক্রান্ত বানরকে এই নতুন টিকা দেবার পর দেখা গেছে- এসআইভি ভাইরাস অর্ধেকেরও বেশি ধংস হয়ে গেছে। বিজ্ঞানীরা এই টিকার এমন একটি সংস্করণের চেষ্টা করছেন যা এইডসের বিরুদ্ধে কাজ করবে। এখন এর নানা রকম ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা করা চলছে। এটা মানব দেহের জন্য নিরাপদ করার পর, আগামী ২ বছরের মধ্যেই মানব দেহে এটা টিকা হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।

ঙ) এইডসে নিশ্চিত মৃত্যুই যে রোগের পরিণাম। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন-অদূর ভবিষ্যতে এই রোগের ভাইরাস নির্মূল করা সম্ভব হবে। তাই বর্তমানে প্রতিরোধই এই রোগ হতে বাচাঁর জন্য, একমাত্র আবরণী বা রক্ষাকবজ। তাই বাচঁতে হলে, মানতে হবে। রাষ্ট্রসংঘের হিসেব মতে সারা বিশ্বে ৩ কোটির বেশি এইডস রোগী আছে। প্রতিদিন গড়ে বিশ্বে ১২/১৩ হাজার এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। এই রোগের যে সব ওষুধ প্রচলিত আছে, সেগুলো হল- ট্যাবলেট কোয়ার্ড, বাইরাড, টিকা, ভরিনোস্টেটেক, অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল ড্রাগ প্রভূতি। সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীরা চেস্টা করে যাচ্ছেন এইচআইভি প্রতিরোধ করার জন্য। যে ভাইরাস মানব দেহে এইডস রোগ সৃষ্টি করে তাকে নির্মূল করার জন্য। এর বিরুদ্ধে নতুন আবিষ্কৃত টিকা বা ওষুধ ভালই ফল দিয়েছে।

কোথায় চিকিৎসা চিকিৎসা পাওয়া যাবে

ক) মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
খ) সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল
গ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
ঘ) বেসরকারী হাসপাতাল
ঙ) এনজিও পরিচালিত বিশেষায়িত স্বাস্থ্যকেন্দ্র

কি ধরণের পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে

ক) রক্তের পরীক্ষা (ELISA and Western blot tests)
খ) মুখের শ্লেষ্মা পরীক্ষা (Oral Mucus)

আক্রান্ত ব্যক্তির জীবন-যাপন

ক) শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন না করা।
খ) গর্ভধারণ না করা।
গ) বিশেষজ্ঞ ডাক্তারকে দেখানো।
ঘ) ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন ও নির্দেশনা মেনে চলা।
ঙ) প্রতিষেধক গ্রহণ।
চ)  সুষম খাদ্য যেমন-তাজা শাকসবজি, ফলমূল ইত্যাদি খাওয়া।
ছ) যেসব খাবার খেলে সংক্রমণ হতে পারে যেমন-কাঁচা খাবার সেগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকা।
জ) বিশুদ্ধ পানি পান করা।
ঝ) নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করা।
ঞ) পর্যাপ্ত ঘুম এবং বিশ্রাম।
ট) ধূমপান ও মদপান থেকে বিরত থাকা।
ঠ) হাত ভালোমত পরিষ্কার করা।

এইডস অক্রান্ত ব্যাক্তির পরিচর্যা

মরণব্যাধি এইডস এর পরিণতি কী তা আমরা জানি। একজন এইডস আক্রান্ত ব্যক্তি অতি সহজেই অন্যকে সংক্রমিত করে না এবং অক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে না। তাই আমাদের লক্ষ্য রাখা উচিত এইডস আক্রান্ত ব্যক্তিকে আমাদের সমাজ থেকে যেন বিচ্ছিন্ন করা না হয়। তাকে স্বাভাবিক জীবন-যাপনে উৎসাহিত করতে হবে। যাতে করে আক্রান্ত ব্যক্তি বাঁচার প্রেরণা পায়। সমাজের সর্বস্তরের মানুষের উচিত আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা।

প্রতিরোধ

এইডসের মত রোগ-ব্যাধির ক্ষেত্রে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার কোন বিকল্প নেই। সেই সঙ্গে আরো বেশকিছু বিষয় মেনে চললে এই মরণব্যাধি থেকে নিজেদের মুক্ত রাখা সম্ভব হবে।

ক) সচেতনতা সৃষ্টি: এইডস কী এবং এর শেষ পরিণতি কী? কিভাবে ও কেন সৃষ্টি হয়? কিভাবে তা ছড়ায়? কোন ভাইরাস এইডসের কারণ এবং কিভাবে সংক্রমিত হয়? এসব মানুষকে অবহিত করে তাদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারলে এই মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে আসবে।

খ) ধর্মীয় অনুশাসন চর্চা করা: যারা ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলে তাদের এইডসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। বর্তমানে অনেক বাবা-মা জানে না তাদের সন্তানেরা কী করছে, কোথায় যাচ্ছে। একটি শিশুর প্রথম পাঠশালা তার পরিবার। আর প্রথম শিক্ষক তার বাবা -মা। এজন্য সব বাবা-মায়ের উচিত সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করা। তাদের সম্পর্কে খোঁজ-খবর রাখা। তারা যেন খারাপ বন্ধুর সঙ্গে ওঠাবসা না করে এবং ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলে সেদিকে খেয়াল রাখা। যেহেতু উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েরা নিজেদের নিয়ে খুবই উদাসীন থাকে, সেই সঙ্গে বেপরোয়াভাবে জীবনযাপন করে তাই প্রত্যেক বাবা-মায়ের উচিত তাদের সন্তানকে এইডসসহ সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সচেতন করা। সেই সঙ্গে তারা যেন কোন অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখা।

ইসলামে মদ্যপান হারাম। মদ পান করলে মানুষের স্বাভাবিক জ্ঞান লোপ পায়। মদ খেয়ে যেকোন স্বাভাবিক মানুষও মাতলামী শুরু করে। অনেক সময় নিজের অজান্তেই এই মাতাল অবস্থায় অশ্লীল কাজ ও অবৈধ অনিরাপদ যৌনাচারে লিপ্ত হয়ে যায়। যার কারণে এইডস আক্রান্ত হওয়ার সমূহ ঝুকি থাকে।

গ) পতিতালয় বন্ধ করা: বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পতিতালয় রয়েছে। পতিতালয়ে গিয়ে মানুষ অবাধ যৌনকর্মে লিপ্ত হচ্ছে। আজ সারা বিশ্ব এক বাক্যে স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছে যে, একমাত্র পতিতালয় থেকেই সর্বাধিক হারে এইডস ছড়াচ্ছে। এইডস ছড়ানোর যে সব পথ রয়েছে তার মধ্যে পতিতালয়ই হচ্ছে অন্যতম মাধ্যম। কেননা এখানে সকল সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের অবাধ বিচরণ। যার অধিকাংশেরও বেশি সংখ্যা ছাত্র এবং যুবক। যাদের ভিতরে সচেতনতা খুবই কম কাজ করে। নতুন যৌবনের ঢেউয়ের উদ্মাদনায় এই শ্রেণির মানুষেরা কোন কিছুই তোয়াক্কা করে না। যার ফলে খুব অনায়াসেই এইডস ছড়িয়ে পড়ছে অকল্পনীয়ভাবে। তাই নিরাপদ ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে আমাদের এখনই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত এইসব পতিতালয় বন্ধ করা।
ঘ)  সমকামিতা বন্ধ করা: সমকামিতা হচ্ছে পুরুষে-পুরুষে এবং নারীতে-নারীতে জৈবিক চাহিদা মেটানো। এর ফলে অনেক রোগ সৃষ্টি হয়। ইসলামে তো নয়ই কোন ধর্মেই এর কোন স্থান নেই। ইসলামসহ সকল ধর্ম  এসব অশ্লীলতাকে নিষিদ্ধ করেছে এবং মানুষের জৈবিক চাহিদা পূরণের জন্য বিবাহ করার নির্দেশ দিয়েছে।
ঙ) স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে বোধগম্য ও সহজ ভাষায় এইডস সম্পর্কিত তথ্য অন্তর্ভুক্ত করতে হবে যেন এইডস সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান পায় শিশুরা কৈশোরে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে। সেই সঙ্গে পেশাদার রক্ত দাতাদের রক্ত প্রদানে বাধা প্রদান করতে হবে৷ আইন প্রণয়নের মাধ্যমে রক্ত বেচাকেনা বন্ধ করতে হবে৷ সুস্থ মানুষকে স্বেচ্ছায় রক্তদানে উৎসাহিত করতে হবে৷ রেডিও, টেলিভিশন, নাটক, পত্রপত্রিকায় বিভিন্ন বিনোদনের মাধ্যমে জনগণকে এইডস-এর ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন করতে হবে৷

সারকথা

চিকিৎসা বিজ্ঞান যতই উন্নতির দিকে এগুচ্ছে ঠিক ততটাই শক্তিশালী হচ্ছে নতুন নতুন বিভিন্ন রোগজীবাণু। তাই এইডসের মতো আরো বিভিন্ন শক্তিশালী জীবানুদের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র প্রতিষেধক আবিষ্কার করলেই চলবে না। প্রয়োজন সকলের সামষ্টিক সচেতনতা। সেইসঙ্গে প্রত্যেককে তাদের নিজ নিজ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা। একমাত্র ধর্মীয় অনুশাসনই পারে একটি সুন্দর পৃথিবীতে সুস্থ শরীরে বেচেঁ থাকার একমাত্র উপায়।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020 SwadeshNews24
Site Customized By NewsTech.Com