জাপানের সমুদ্র উপকূলে দু’মাস ধরে একের পর এক মরদেহ ভর্তি নৌকা এসে ভিড়ছে। এখন পর্যন্ত এমন নৌকা এসেছে ৮ টি। নৌকাগুলোতে মৃতদেহ ছিল ২০ জনের। জাপানের কোস্টগার্ড সিএনএনকে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে তারা এখনও এর রহস্য উদ্ধার করতে পারেনি। অক্টোবর মাসে তারা মরদেহবাহী প্রথম নৌকাটি উদ্ধার করেন। এরপর নভেম্বরের শেষের দিকে বাকিগুলো এসে পৌছায়। কোস্টগার্ড জানায়, নৌকায় থাকা মরদেহগুলোর অবস্থা ছিল খুবই খারাপ। সবগুলোই বাজে ভাবে পচে গলে গেছে। এর মধ্যে দুটি মরদেহ ছিল মাথা বিহীন। আর একটি নৌকায় ছিল ছয়টি মাথার খুলি। কোস্টগার্ড কর্মকর্তারা এখন এই ভুতুড়ে নৌকাগুলোর রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছেন। কোথা থেকে এগুলো আসছে তা বের করতে চেষ্টা করছেন। তারা ধারণা করছেন, নৌকাগুলো আসছে উত্তর কোরিয়া থেকে। এমন ধারণা হওয়ার পেছনে কারণ হলো, ২০শে নভেম্বর জাপানের ওয়াজিমা শহরের পশ্চিম উপকূলে উদ্ধারকৃত তিনটি নৌকারে একটির মাস্তুলে কোরিয়ান ভাষায় লেখা ছিল, ‘কোরিয়ান পিপলস আর্মি’। এটা উত্তর কোরিয়ার সামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর নাম। উত্তর কোরিয়ার দিকে নির্দেশ করা আরেকটি ক্লু ছিল একটি নৌকায় উদ্ধার হওয়া এক টুকরো ছিন্নবিচ্ছিন্ন কাপড়। কাপড়টি উত্তর কোরিয়ার জাতীয় পতাকা থেকে বলে মনে হয়। নৌকাগুলোর ছবি দেখার পর চাথাম হাউজ পলিসি ইন্সটিটিউটের এশিয়া কার্যক্রমের প্রধান জন নিলসন-রাইট বলেন, নৌকাগুলো যে উত্তর কোরিয়ার সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। জাপানের গণমাধ্যমে ভুতুড়ে এসব নৌকা নিয়ে নানা জল্পনা কল্পনা। এর মধ্যে অনেকে মনে করছেন এগুলো হয়তো মাছ ধরা নৌকা ছিল যা দিকভ্রান্ত হয়ে সমুদ্রে ভেসে এসেছে। তবে নিলসন রাইট মনে করছেন, মানুষেরা হয়তো সেখানের শাসন থেকে পালানোর চেষ্টা করতে থাকতে পারে। তিনি এটাও বলেছেন, সীমিত তথ্য দিয়ে এটা নিশ্চিত হওয়া অসম্ভব।