বিপিএলের তিন আসরে তামিম ইকবাল খেলেছেন ১৭টি ম্যাচ। কিন্তু নামের পাশে শুরু থেকে মারমুখী যুক্ত হলেও এখন পর্যন্ত ক্রিকেটের ক্ষুদ্র সংস্করণ টি-টোয়েন্টি ফরমেটে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে পারেননি। বিপিএলে দেশের সেরা ওপেনার রান সংগ্রহের দিক থেকে ১৫তম স্থানে। এ তালিকায় ২৮ ম্যাচে ৭৭২ রান করে শীর্ষে রয়েছেন জাতীয় টেস্ট দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম। যদিও মুশফিক তামিমের চেয়ে অনেক কম ম্যাচ খেলেছেন। অন্যদিকে জাতীয় দলের হয়ে অবশ্য তামিম ইকবাল নিজেকে প্রমাণ করেছেন বেশ ভালোভাবেই। ৩৮ ম্যাচে ৮৪৩ রান করে শীর্ষে রয়েছেন সাকিব আল হাসান। তার পরেই আছেন ৪১ ম্যাচে ৭৮৬ রান করা তামিম। যদিও তার গড় মাত্র ২০.৬৮। এ পর্যন্ত হাঁকিয়েছেন ৩টি ফিফটি। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে করা অপরাজিত ৮৮ রান এখনও দেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দেশের মাটিতে অবশ্য তামিম খুব বেশি রান করতে পারেনি। ১৬টি ম্যাচে তার ব্যাট থেকে এসেছে ২৯৮ রান। হাঁকিয়েছেন একটি ফিফটি। তার ব্যাট থেকে সেই ৮৮ রানের ইনিংসটি ছাড়া দেশের মাঠে ৩০-ঊর্ধ্ব রান করতে পেরেছেন দুবার। আর ঘরের মাঠ চট্টগ্রামে খেলেছেন মাত্র ৪টি ম্যাচ। সেখানে একবারই তিনি সর্বোচ্চ ৩০ রান করতে পেরেছিলেন। গতকাল বিপিএলে আবারও চট্টগ্রামের সাগরিকাতে দর্শকদের অনেক আশা নিয়ে মাঠে নামেন। কিন্তু চিটাগাং ভাইকিংসের অধিনায়ক মাত্র ৬ রানেই আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন। সেই সঙ্গে শেষ পর্যন্ত তার দলও চট্টগ্রামে হার দিয়ে শুরু করেছে বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্ব।
তামিম ইকবাল বিপিএলের টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয় ২০০৭ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে। মাত্র ১১ রান করে আউট হন তিনি। এরপর প্রথম ফিফটির জন্য অপেক্ষা করতে হয় ২০টি ম্যাচ ও পাঁচ বছর। ২০১২ দেশের বাইরে নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে ৬৯ রানের অপরাজিত রান করেন তিনি। পরের ম্যাচেও হাঁকান দ্বিতীয় ফিফটি। তবে দেশের মাটিতে প্রথম ফিফটি আসে একই বছরই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মিরপুর শেরেবাংলা মাঠে ৮৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। তামিম ইকবাল বিপিএলে খেলা শুরু করেন ২০১২ সালে চিটাগাং কিংসের হয়ে। কিন্তু কোচের সঙ্গে বিতর্ক ও ইনজুরির কারণে শেষ পর্যন্ত মাত্র দুটি ম্যাচই খেলতে পেরেছেন তিনি। মাত্র ৮ রান করেই শেষ হয়েছিল তার প্রথম বিপিএলের আসর। দ্বিতীয় আসরে অবশ্য তামিম খেলেন দুরন্ত রাজশাহীর হয়ে। সেবার অবশ্য তার ব্যাট থেকে আসে ১০ ম্যাচে ৩টি ফিফটিতে ২৭.১১ গড়ে ২৪৪ রান। শেষ পর্যন্ত অবশ্য দুরন্ত রাজশাহীতেও মালিকপক্ষের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন দেশের এই তারকা ক্রিকেটার।
প্রায় আড়াই বছর বন্ধ থাকার পর তৃতীয় আসরে তামিম ইকবাল আবারো সুযোগ পান নিজ বিভাগ চট্টগ্রামের প্রতিনিধিত্ব করার। নতুন দল চট্টগ্রাম ভাইকিংসের অধিনায়ক হয়েই মাঠে নামেন তৃতীয় আসরে। ব্যাট হাতে প্রথম ম্যাচেই ফিফটি হাঁকিয়ে শুরু করেন। দ্বিতীয় ম্যাচেও ফিফটি হাঁকান। তৃতীয় ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে ৩৩ রান। চতুর্থ ম্যাচে ১ রান করে আউট হন তিনি। এরই মধ্যে ঢাকায় প্রথম পর্ব শেষ করে বিপিএলের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয় তামিম ইকবালের ঘরের মাঠ জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। কিন্তু গতকাল নিজ মাঠে ব্যর্থতাই ছিল তার সঙ্গী।