জয় পেলেই ঢাকা ডায়নামাইটস শেষ চারের লড়াইয়ে অনেকটাই নিশ্চিত হতো তা নয়। তবে ৮ পয়েন্ট নিয়ে অনেকটাই নিরাপদ থাকতে পারতো। কিন্তু রংপুরের কাছে ৬ উইকেটে হেরে ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপিএল মিশনটা আরও কঠিন হয়ে গেল। অন্যদিকে দিনের প্রথম ম্যাচে সিলেটের জয়ের ফলে রংপুর জিতেও নিশ্চিত শেষ চারে থাকা গকালও নিশ্চিত করতে পারেনি রংপুর রাইডার্স। সাকিব আল হাসানের দলকে আরও একটু অপেক্ষা করতেই হবে। গতকাল টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে রংপুর রাইডার্সের সামনে ১৩৬ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছিল সাঙ্গাকরার ঢাকা। কিন্তু জবাব দিতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ১০ বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় সাকিবের রংপুর। ঢাকাকে হারিয়ে রংপুর ৮ ম্যাচে ৫ জয় নিয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে অনেকটাই এগিয়ে রাখলো নিজেদের। অন্যদিকে ৭ ম্যাচে এটি ঢাকার চতুর্থ হার।
লক্ষ্য তারা করতে নেমে ঢাকার বোলারদের বিপক্ষে কোন কষ্ট করতে হয়নি রংপুরের ব্যাটম্যানদের। সিমন্সকে নিয়ে ওপেন করতে নেমে সৌম্য সরকার ৩৮ রানের জুটি গড়ে তোলেন। ধিরে সুস্থে খেলতে থাকা সৌম্য সরকার ২৭ বলে ২১ রান করার পথে আবুল হাসান রাজুর বলে ক্যাচ দেন। এরপর ২২ বলে ১৮ রান করে আউট হন সিমন্সও। দলের হাল ধরতে এসে অধিনায়ক সাকিব মাত্র ৮ রান করেই হাটেন সাজঘরের পথে। তবে জহুরুল ইসলাম অমি ও ড্যারেন স্যামি চতুর্থ উইকেটে ৪৫ রানের জুটি গড়ে দলের জয় অনেকটাই নিশ্চিত করে ফেলেন। তবে দলীয় ১১৯ রানের সময় ২১ বলে ২৩ রান করা স্যামি আউট হলে ম্যাচে একটু উত্তেজান ছাড়ায়। কিন্তু অমি এক পাশ আগলে রেখে ৫ম উইকেটে পেরেরার সঙ্গে অপরাজিত ১৭ রানের জুটি গড়ে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। অমি ২৬ বলে অপরাজিত ৩৫ রান করেন ৪টি চারের মারে। তার সঙ্গে পেরেরাও ৮ রান করে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে উইকেটের বৈরী আচরণ ও রংপুর রাইডার্সের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে ঢাকা ডায়নামাইটসের মারমুখি ব্যাটিং কোন সুফল আনতে পারেনি। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ১৩৫ রান করেছে ঢাকা ডিনামাইটস। ইনিংসের শুরু থেকেই রান তুলতে সংগ্রাম করতে হয়েছে ঢাকার ব্যাটসম্যানদের। সেই সঙ্গে দুর্ভাগ্যও ছিল ঢাকার ইনিংসে। তিনজন ব্যাটসম্যানই হয়েছেন রানআউট। স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাট করা ওপেনার সাদমান ইসলাম অহেতুক রান আউট হন চতুর্থ ওভারে। তার ব্যাট থেকে আসে ১৬ রান। শুরু থেকেই নড়বড়ে থাকা শামসুর ৪ রানে সাকিবের বলে এলবিডব্লিউ হন। দলীয় ৩৯ রানে সৈকত আলী ১৮ রান করে স্যামির শিকার হলে তৃতীয় উইকেট হারায় ঢাকা। চতুর্থ উইকেটে ৪৫ রানের জুটি গড়েন নাসির ও সাঙ্গাকারা। কিন্তু সাকিবের সরাসরি দারুণ থ্রোতে সাঙ্গাকারা রানআউট না হলে ঢাকার স্কোরটা আরও বড় হতে পারতো। অধিনায়ক সাঙ্গাকারা ২৯ রান করেন। নাসিরর হোসেন চেষ্টা চালান উতরে যেতে কিন্তু সফলতা পাননি। আরাফাত সানির বলে বোল্ড হওয়ার আগে নাসির ইনিংস সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন। এরপর ডেসকাট ৬ রান করে ব্যর্থ হন শেষ দিকে দ্রুত রান তুলতে। ১৩ রান করা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত রানআউট হন ১৯তম ওভারে। আবুল হাসান ২ ও সোহেল খান ৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। রংপুরের পক্ষে আরাফাত সানি নেন ২ উইকেট।