মুম্বইয়ে গত ৫ বছরে ধর্ষণ বেড়েছে শতকরা ৪০০ ভাগ। মুম্বই পুলিশের কাছে যেসব মামলা রেকর্ড হয়েছে তার ভিত্তিতে এ হার নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এর বাইরে রয়ে যায় অনেক ঘটনা, যা লোকলজ্জার ভয়ে চেপে যান ধর্ষিতা ও তার পরিবার। এ নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। যদিও পুলিশ বলেছে, নারীদের নিরাপত্তা দেয়া তাদের শীর্ষ অগ্রাধিকার। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৫ বছর আগের তুলনায় নারীর ধর্ষিত হওয়ার হার বেড়েছে চারগুন। মঙ্গলবার প্রজা ফাউন্ডেশন নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, ২০১০ সালের তুলনায় মুম্বইয়ে ধর্ষণ ও বলাৎকার বেড়েছে শতকরা ৪০০ ভাগ পর্যন্ত। তবে পুলিশ বলেছে, অনেক ক্ষেত্রেই ভুয়া অভিযোগ দেয়া হয়। ২০১০ থেকে ‘১১ সালের মধ্যে ১৬৫টি ধর্ষণ ঘটেছে। তারপর থেকে প্রতি বছর এ সংখ্যা বেড়েছে। এ বছর সেখানে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৬৪৩টি। বলাৎকার বা নারীর ওপর নির্যাতন বেড়েছে শতকরা ৩৪৭ ভাগ। ২০১০-’১১ সালে এমন সংখ্যা ৪৮৩টি। এ বছর এমন মামলা হয়েছে ১৬৭৫টি। ফলে দেখা যাচ্ছে নারীদের যৌন হয়রানির ঝুঁকি বেড়েছে তিনগুনেরও বেশি। এ বিষয়ে ুলিশ বলেছে, দিল্লি ও মুম্বইয়ের শক্তি মিলে নৃশংস ধর্ষনের ঘটনা আলোয় আসায় যৌন অপরাধের বিরুদ্ধে আইন অনেক কঠোর করা হয়েছে। একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এমনও অনেক ঘটনা আছে যেখানে উভয়ের সম্মতিতে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে। কিন্তু পরে ওই পুরুষ সঙ্গী তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নারী সঙ্গীকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এরপরেই ওই নারী ধর্ষণের মামলা করেছেন। এ জন্য এসব মামলাকে নিবন্ধিত করতে হয় ও ওই পুরুষকে আটক করতে হয়। এ জন্য ধর্ষণের মামলা বেড়েছে। তবে অভিযুক্ত হয়ে সাজা পাওয়ার সংখ্যা কমেছে। কারণ, এসব ঘটনায় কোন সাক্ষী বা প্রমাণ থাকে না। মুম্বইয়ের পুলিশের মুখপাত্র ডিসিপি ধনঞ্জয় কুলকার্নি নিশ্চিত করে বলেন, গত কয়েক বছরের এরকম বেশ কিছু মামলা তাদের কাছে এসেছে।