মাদকে আসক্ত সদ্যজাত শিশু। জন্ম নিয়েছে সে মাদকে আসক্ত হয়ে। এতে তার কোন দোষ নেই। সে মায়ের গর্ভে থাকা অবস্থায় তার মা সেবন করেছেন অতিমাত্রায় মাদকদ্রব্য। সেখান থেকে শিশুটি আসক্ত হয়েছে। জন্ম নেয়ার পর পরই সে হাত-পা ছোড়াছুড়ি শুরু করে। কোনভাবেই চিকিৎসকরা তা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছিলেন না। নানা পরীক্ষার পর দেখা গেল সে মাদকে আসক্ত। যখন এমন ঘটনা ধরা পড়লো তখন তো চিকিৎসকদের মাথায় হাত। হায়, এ শিশু বাঁচাবেন তারা কেমন করে। রিপোর্টে বলা হয়েছে শিশুটির মা সেবন করতেন হেরোইনের মতো মাদক দ্রব্য ওপিয়াটিস। ডাক্তার লরেন জ্যাসন বলেছেন, এটা এক ভয়ানক মাদক দ্রব্য। এটা এখন মহামারীর মতো রূপ নিয়েছে। গত ১০ বছরে এভাবে মাদক আসক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেছে এক লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি শিশু। এমনই একটি শিশু ব্রাক্সটন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের অনুসন্ধানে তা প্রকাশ পায় মিডিয়ায়। এই শিশুটির বড়ভাই জন্মেছে হেরোইনের আসক্তি নিয়ে। তাদের মা ক্লোরিসা জোনস। তিনি বলেছেন, তিনি এখন ছেড়ে দিয়েছেন এ নেশা। এখন ব্রাক্সটনের অবস্থাও কিছুটা উন্নতির দিকে। আরেক মা রেনে পেডারসনের যখন নেশা জেগেছিল তখন অকস্মাত তিনি নিজের সন্তানকে গলা টিপে হত্যা করেছেন। সাবেক কংগ্রেসম্যান জেমস গ্রিনউড বলেছেন, যেসব শিশু এরকমভাবে জন্মায় তার, তার মা ও পরিবারকে সচেতন হতে হবে। তার আশপাশের পরিবেশ সুন্দর রাখতে হবে। তাদেরকে ফেরাতে হবে এ পথ থেকে। যুক্তরাষ্ট্রে যদি কোন শিশু মাদক আসক্তি নিয়ে জন্মায় তাহলে সামাজিক মিডিয়ায় তা জানিয়ে দেয়ার আইন আছে। কিন্তু তা খুব কম ক্ষেত্রেই ঘটছে।