আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের সুরে ‘রূপসী বাংলার গান’/প্রকাশিত হলো ‘রূপসী বাংলার গান’/‘রূপসী বাংলার গান’এ্যালবামের মোড়ক উম্মোচিত হলো/ ‘সবকটা জানালা খুলে দাও না’ ‘ও মাঝি নাও ছাইড়া দে’, ‘সুন্দর সুবর্ণ তারুণ্য লাবণ্য’, ‘উত্তর দক্ষিণ পূর্ব পশ্চিম’, ‘সেই রেল লাইনের ধারে’ এমন অনেক জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। অনেকদিন পরে পুরো একটি দেশের গানের এ্যালবামে সুর ও সঙ্গীত আয়োজন করেছেন একুশে পদক ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব।

এ্যালবামটির নাম ‘রূপসী বাংলার গান’। সাতটি গান দিয়ে সাজানো হয়েছে এ্যালবামটি। গানগুলোতে কণ্ঠ দিয়েছেন কণ্ঠশিল্পী লুইপা, মারুফা, নন্দিতা, মেহেদী ও স্মরণ। বিজয় দিবস উপলক্ষে দেশের গানের এই এ্যালবামটি প্রকাশ করছে ইমপ্রেস অডিও ভিশন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বনানীর সজনা রেস্টুরেন্টে এক ঘরুয়া আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ্যালবামটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। এই এ্যালবামের গীতিকার ডা. কমল কলি ও এ্যালবামের শিল্পীবৃন্দরা। আমেরিকা প্রবাসী গীতিকার ডা. কমল কলি লেখা গানগুলোর কথা- আমার মন জুড়াই রে/আমার প্রাণ জুড়াইরে, আমি বাংলার মেয়ে মাগো বাংলা আমার প্রাণ/বাংলা আমার চলনে/বাংলা আমার বলনে/ যেনো রাখি সম্মান, রনাঙ্গনে যুদ্ধ করে হয়েছো তুমি বীর/হয়েছি আমি বীরাঙ্গনা উন্নত মম শির, এসো হে নবীন গাও মুক্তির জয়গান, যদি জানতে চাও কোথায় আমি যাব/বলব আমি যাব/আমার দেশ বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ, কত না ভাষা শিখেছি আমি/কতনা ভাষায় বলি, সবুজ শ্যামল আকাশ নীলে/ঘেরা আমার মন/বাংলার মানুষই আমার আপনজন আপনজন।

এ্যালবামটি প্রসঙ্গে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল বলেন, ‘অনেকদিন পরে একই সঙ্গে অনেকগুলো দেশের গান সৃষ্টি করার সময় এলো। গানগুলো তৈরি করার সময় নিয়ে এলো আর কেউ নয় কমল কলি। তিনি গানগুলো খুব সুন্দর করে লিখেছেন। আর আমিও চেষ্টা করেছি তার গানগুলোতে সুর দিয়ে আরও একটু সুন্দর করে তুলতে। পেরেছি কি না জানি না। আমার প্রাণপ্রিয় শিল্পীরা আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছে। আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।’ কমল কলি বলেন, ‘বুলবুল ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করার স্বপ্ন বুকে ধারণ করেছিলাম অনেকদিন ধরে। আজ সেই স্বপ্ন পূর্ণ হয়েছে।

আমি তার কাছে কৃতজ্ঞ। আমি পেশায় একজন ডাক্তার, থাকি আমেরিকায়। কিন্তু মন পড়ে থাকে আমার প্রিয়দেশ বাংলাদেশে। তাই দেশের কথা লিখতে ভালো লাগে। আশা করি বুলবুল ভাই ও আমার কাজ আপনাদের ভালো লাগবে। সেই আশায় থাকলাম।’