ইমেইলে স্বামী তালাক দিয়েছেন। তাই স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক স্ত্রী ছানা ইয়াসমিন (আসল নাম নয়)। এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের নয়ডাতে। সেখানে বিয়ের চার মাস পরে এ ঘটনা ঘটে। তালাকে ওই নারীর স্বামী বলেন যে, তার গায়ের রঙ কালো। তিনি চেয়েছিলেন সুন্দরী, ফর্সা একজন স্ত্রী। তাই ইমেইলে তিনি তাকে তালাক দিয়েছেন। ছানা বলেছেন, গত ৫ই ডিসেম্বর তিনি যখন তার স্বামীকে জানান যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা তিন দিন পরেই তাকে ওই তালাকনামা পাঠানো হয়। ছানা ইয়াসমিন নয়ডাভিত্তিক একটি ফার্মা প্রতিষ্ঠানের গবেষণা সহকারী। তার স্বামী ৩৫ বছর বয়সী একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। তিনি বিয়ের প্রথম দিনেই ছানাকে গায়ের রঙ নিয়ে অপমান করেছেন। তবে তালাকনামায় তিনি উল্লেখ করেছেন, ছানার দেহে কঠিন রোগ আছে। এ বিষয়টি তার পরিবার বিয়ের সময় গোপন করেছে। কিন্তু ছানা এ অভিযোগ ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছেন। গত মার্চে বিয়ে বিষয়ক একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এ দুটি পরিবারের মধ্যে যোগাযোগ হয়। জমশেদপুর হলো ছানাদের বাড়ি। সেখানেই বিয়ে সম্পন্ন হয়। এরপর স্বামীর সঙ্গে তিনি চলে যান ব্যাঙ্গালোরে। ছানা বলেন, প্রথম থেকেই সে আমার সঙ্গে অমানবিক ব্যবহার করতে থাকে। মাঝে মাঝেই সে মৌখিক নির্যাতন করতো আমাকে। প্রহার করতো। নভেম্বরে ছানা নয়ডাতে তার কর্মক্ষেত্রে ফিরে আসেন। তিনি বলেন, বিয়ের আগে শ্বশুরপক্ষের লোকজন আমাকে দেখেছে। যদি আমার গায়ের রঙ নিয়ে কোন আপত্তি থাকতো তাদের তখনই তা বলতে পারতো। এতে আমার বিয়ে হতো না। আমার জীবনের ওপর এতবড় আঘাত আসতো না। ছানার পিতা বলেছেন, ছানার স্বাস্থ্য সমস্যা বলতে একটিই সমস্যা আছে। তাহলো ধুলোবালিতে তার প্রচ- এলার্জি বাড়ে। জামাই সম্পর্কে নানা অভিযোগ ছানা অনেক সময়ই আমাদের কাছে করেছে। আমাদের অভিযোগ নারীদের পুলিশ স্টেশন গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানানোর পর আমরা গৌতমবুদ্ধ নগর পুলিশ প্রধান কিরন এস-এর সঙ্গে সাক্ষাত করেছি। এ বিষয়ে নারী বিষয়ক থানার এসএইচও নরেন্দ্রি সাইনি বলেছেন, ছানা তাদের কাছে গিয়েছিলেন রোববার। তারপর আমরা তার স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করি। তাকে সমঝোতা করার কথা বলি। কিন্তু তিনি নয়ডা আসতে অস্বীকৃতি জানান। তবে ছানা তখনও সিদ্ধান্ত নেন নি যে তিনি মামলা করবেন কিনা। তার পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আমরা যৌতুকের দাবিতে হয়রানি বিষয়ক মামলা নিবন্ধিত করবো।