মার্কিন সেনাবাহিনীর একজন শিখ ক্যাপ্টেন দায়িত্বরত অবস্থায় দাঁড়ি রাখা ও পাগড়ি পরার অনুমতি পেলেন। যদিও এ অনুমতি সাময়িক সময়ের জন্য, তবুও এমন ঘটনা বেশ বিরল। সোমবার ক্যাপ্টেন সিম্রাটপাল সিং নামে ওই শিখ সেনা কর্মকর্তার প্রতিনিধি এ তথ্য জানিয়েছেন। এ খবর দিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন সেনাদের ‘ক্লিন-কাট’ হওয়ার শর্তে শিথিলতা আনার দুই বছর পর সিম্রাটপাল এ অনুমতি পেলেন। ধর্মপ্রাণ শিখ ধর্মাবলম্বীরা নিজেদের চুল কাটে না, শেভও করে না। এছাড়া দীর্ঘ চুল মুড়ে রাখার জন্য প্রায়ই পাগড়ি পরে। ১৯৮০’র পর ধর্মীয় কারণে এ ধরণের সুবিধা প্রদানের ঘটনা মার্কিন সেনাবাহিনীতে এ নিয়ে মাত্র চারটি। দ্য শিখ কোয়ালিশন নামে একটি সংগঠনের দাবি, ওয়েস্ট পয়েন্ট মিলিটারি একাডেমিতে প্রবেশের পর সিম্রাটপাল সিং-এর চুল জোর করে কেটে দেওয়া হয়। তাকে শেভ করতেও বাধ্য করা হয়। প্রায় এক দশক ধরে নিজের দাঁড়ি ও চুল রাখা নিয়ে লড়াই করে যাচ্ছিলেন তিনি। অবশেষে এক মাসের জন্য তার আবেদন মঞ্জুর হল। তার আইনজীবী সবসময়ের জন্য এ সুবিধা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। সিম্রাটপাল বলেন, আমার শিখ পরিচয় ও দেশের প্রতি সেবা নিয়ে অনেক গর্ব আছে। সামরিক ক্যারিয়ার অব্যাহত রাখার পাশাপাশি আধ্মাতিকতাও চালিয়ে যাওয়াটা ছিল আমার জন্য স্বপ্নের মতো।
এক বিবৃতিতে তার আইনিজীবী আমান্দিপ সিধু বলেন, দেয়ালের লেখাটা পরিষ্কার। ক্যাপ্টেন সিম্রাটপাল সিং-কে দেয়া সুবিধা স্থায়ী করা উচিৎ। এ সংক্রান্ত নীতি পরিবর্তনের সময় এখনই। গত মাসে অবসরপ্রাপ্ত ২৭ জন মার্কিন জেনারেল দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাশটন কার্টারের প্রতি এ ধরণের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। কার্টার বেশ কয়েকবার মার্কিন সমাজের সব দিক থেকে সেনাসদস্য নিয়োগের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। এ মাসে কমব্যাট ইউনিটে নারীদের যোগদানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেন তিনি। তবে বৃটেন, কানাডা ও ভারত সহ বেশ কয়েকটি দেশের সেনাবাহিনীতে শিখ ধর্মাবলম্বীদের দাঁড়ি ও চুল রাখার অনুমতি দেওয়া হয়।