খ- ও ধারাবাহিক দুই ধরনের নাটকে অভিনয় নিয়ে ব্যস্ত আছেন লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর। বর্তমান ব্যস্ততা ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়ে আজকের ‘আলাপন’-এ কথা বলেছেন তিনি। তার সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন মারুফ কিবরিয়া
কেমন আছেন? কেমন চলছে সব?
আছি ভালো। কাজ করছি। আজ(সাক্ষাৎকারটি নেয়ার সময়) বাবাকে নিয়ে ব্যস্ত আছি। তার কিছু চেক-আপ করিয়ে বাসায় ফিরছি। এমনিতে শুটিং চলছে। কাজ করছি নিয়মিত।
নতুন ধারাবাহিকে কাজ করছেন?
এরই মধ্যে কয়েকটি নাটকের কাজ প্রায় শেষ করেছি। এগুলো হচ্ছেÑ সাখাওয়াৎ মানিকের পরিচালনায় ‘মেঘে ঢাকা শহর’, শহীদুজ্জামান সেলিমের ‘একঝাঁক মৃত জোনাকি’, জাহিদ হাসানের ‘ভেগাবন’। এছাড়া নাজনীন হাসান চুমকীর একটি নাটকের কাজ করার কথা রয়েছে।
প্রচার চলতি নাটকগুলোর কি অবস্থা?
এখন বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচার চলছে বেশ কয়েকটি নাটক। এর মধ্যে রয়েছে এনটিভিতে ‘ফ্যামিলি প্যাক’ ও ‘একদিন ছুটি হবে’, চ্যানেল আইতে ‘মোহর আলী’ এবং বৈশাখী টিভিতে ‘গন্তব্য নিরুদ্দেশ’।
খ- নাটকের ব্যস্ততা কেমন?
এর মধ্যে অনেক নাটকে কাজ করেছি। সেসবের কিছু প্রচারও হয়েছে। সম্প্রতি নতুন দুটি নাটকের কাজ শেষ করেছি। দুটোতেই সজল ভাই কো-আর্টিস্ট হিসেবে রয়েছেন। এছাড়া আসছে ভ্যালেন্টাইন ডে’র জন্য বেশ ক’টি নাটকের শুটিং শেষ করেছি। সামনে আরও কিছুর কাজ বাকি আছে। তাই বলা যায়, ধারাবাহিকের পাশাপাশি খ- নাটকেরও কাজ করছি।
অভিনয়ের বাইরের জীবনটা কেমন উপভোগ করেন?
আমি চরম বন্ধুপাগল। বন্ধুদের প্রচুর সময় দিই। বিশেষ করে শুটিংয়ের ফাঁকে যদি আমি অন্তত পাঁচদিনও সময় পাই তাহলে ছুটে যাই প্রিয় শহর চট্টলাতে। কারণ সেখানেই তো আমার সব। ঢাকায় আমার তেমন কোন বন্ধু নেই বললেই চলে। যা আছে সবাই মিডিয়ার। আমার সব চট্টগ্রামে। সেখানকার বন্ধুদের ঘিরেই আমার অবসরটা কাটে। আর পরিবার তো রয়েছেই।
বিয়ের পর থেকে নতুন জীবনটা কেমন যাচ্ছে?
সৃষ্টিকর্তার দয়ায় আমি সুখেই আছি। স্বামীর সঙ্গে দারুণ সময় কাটে। ও খুব ভালো একজন মানুষ। আসলে আমার জীবনে তার আগমন অনেকটা বদলে দিয়েছে আমাকে।
এ জীবনটায় নতুন কি পরিবর্তন লক্ষ্য করেছেন?
আসলে বাবার বাড়িতে যে সময়টা গেছে সেটার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। তবে আমার ক্যারিয়ারে কোনো সমস্যা তৈরি হয়নি এখনও। শ্বশুর-শ্বাশুড়ি আমাকে অনেক আদর করেন। অনেক ফ্যামিলিতে আছে, বউ অভিনয় করে বলে নানা বাঁধা আসে। কিন্তু শ্বশুর বাড়ির মানুষরা সবাই আমার কাজটাকে গুরুত্ব দেন। তারা তাদের ছেলের কাজকে যতটা গুরুত্ব দেন তেমনি আমার ক্ষেত্রেও দিয়ে থাকেন। এটা সত্যিই আমার জন্য সৌভাগ্যের। বিশেষ করে আমার শ্বাশুড়ির কথা বলতে চাই, যখন শুটিং থেকে বাসায় ফিরতে দেরি হয়, দেখা যায় তিনি আমার জন্য খাবার নিয়ে অপেক্ষা করছেন। এটা দেখে আমার খুবই ভালো লাগে। তখন মনে হয় আমি সত্যিই অনেক লাকি যে, এমন একটি পরিবারে আমার বিয়ে হয়েছে।
চলচ্চিত্রে অভিনয়ের ব্যাপারে কিছু ভাবছেন?
ফিল্মের জন্য তো অনেক অফার পাই প্রতিনিয়ত। কিন্তু করছি না। আমি তো একটু গোলগাল দেখতে। আমাদের সিনেমার নায়িকারা অনেকে আমার মতোই গোলগাল! হা হা হা (হাসি)। আর নির্মাতাদেরও তেমনটাই পছন্দ। তাই আমাকে অনেক নির্মাতাই প্রস্তাব দেন। কিন্তু আমি গতানুগতিক কোনো ছবিতে কাজ করতে চাই না। অফ ট্র্যাকের কোনো ভালো গল্প পেলে তখন হয়তো এ বিষয়ে চিন্তা করবো।