ইতিমধ্যে ঢাকার বাইরে দেশের ৪৭টি স্থানে ট্রেনিং ইনস্টিটিউট নির্মাণ করা হয়েছে উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন বর্তমানে আরও ৪০টি স্থানে হচ্ছে। তিনি বলেন প্রশিক্ষণের ওপর জোর দেয়া এবং প্রশিক্ষণ-সংক্রান্ত অবকাঠামো নির্মাণের ফলে আগের চেয়ে বেশি প্রশিক্ষিত জনগণ বিদেশে যাচ্ছে। এতে কর্মীদের ঝুঁকি কমেছে এবং রেমিট্যান্স বেড়েছে। দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টির জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দেশের প্রতিটি উপজেলায় ট্রেনিং ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হবে বলেও মন্ত্রী উল্লেখ করেন। গতকাল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেমে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস’ ২০১৫-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে দরকার সুপরিকল্পিত বিনিয়োগ। এজন্য দরকার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে কর্ম প্রয়াস অব্যাহত রেখেছে। তিনি বলেন, রেমিট্যান্স ট্রান্সফার ফি কমানোর ব্যাপারে সেন্ট্রাল ব্যাংক ও অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। এ ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। অভিবাসীদের মৃত্যুর পর ক্ষতিপূরণের ৩ লাখ টাকা নির্ধারিত সময় অর্থাৎ ২ মাসের মধ্যে দেয়া হবে।’ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম ও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। সভাপতিত্ব করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ওমানে কর্মরত প্রবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন। এ সময় সেখানকার প্রবাসীদের কাজের পরিবেশ ও সুখ-দুঃখের নানা কথা ওঠে আসে। সেখানে কর্মরত এক নারী তার এবং তাদের কাজের কষ্টকর পরিবেশ ও কষ্টের কাহিনী তুলে ধরে দেশে ফিরে আসার আকুতি জানান। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বলেন, বিশ্বের ১৬০টি দেশে ৯ দশমিক ৪ বিলিয়ন অভিবাসী সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। এ বছর ৫ লাখ ১৪ হাজার বাংলাদেশির বিদেশে কর্মসংস্থান হয়েছে। এ কারণে এ বছর রেমিট্যান্স বেড়ে দাঁড়াবে ১৫ বিলিয়নে, যা গত বছরে ছিল ১২ বিলিয়ন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে ‘বিশ্বময় অভিবাসন, সমৃদ্ধ দেশ, উৎসবের জীবন’ এ প্রতিপাদ্যকে নিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা মহানগরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বসে দিনব্যাপী মেলা। মেলায় সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংক তাদের স্টল নিয়ে বসে।