অবশেষে সংবিধান সংশোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেপাল সরকার। এর মাধ্যমে আন্দোলনরত মধেষি সম্প্রদায়ের মূল দুটি দাবি মেনে নেয়ার চেষ্টা করা হবে। দাবি দুটি হলো- আনুপাতিক হারে প্রতিনিধিত্ব ও সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাস। সেপ্টেম্বরে নতুন সংবিধান পার্লামেন্টে পাস হওয়ার পর মধেষি সম্প্রদায় এর বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন শুরু করে। ভারত থেকে নেপালের প্রবেশপথগুলোকে তারা কার্যত অবরুদ্ধ করে রাখে। এতে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক, যানবাহন নেপালে প্রবেশ করতে পারেনি। ফলে নেপালে জ্বালানি তেল থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের তীব্র সংকট দেখা দেয়। এতে ভারতকে দায়ী করে নেপাল। বলা হয়, অঘোষিত অবরোধ আরোপ করেছে ভারত। এর মধ্যে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার চেষ্টা করে নেপাল। কিন্তু মধেষিদের আন্দোলন প্রশমনের কোনো উদ্যোগ দৃশ্যত এতদিন গৃহীত হয়নি। গতকাল বার্তা সংস্থা পিটিআই জানায়, শেষ পর্যন্ত পাস হওয়া সংবিধান সংশোধন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। রোববার রাতে সিঙ্গা দরবারে এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদের জরুরি সভা হয়। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এতে প্রাদেশিক যে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে তিন মাসের মধ্যে সে বিষয়ে কোনো আপত্তি থাকলে তা সমাধানে রাজনৈতিক কৌশল নেয়ার বিষয়ে সম্মতি প্রকাশ করা হয়। নেপালের শিল্পমন্ত্রী সোম প্রসাদ পাণ্ডে সভার পরে বলেছেন, রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আনুপাতিক হারে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে বিল আনা হবে। সীমানা নতুন করে নির্ধারণ করা হবে। বলা হয়, মধেষিদের যে দাবি তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।