রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. এম আতাউর রহমান বলেছেন, নির্বাচন কমিশন ৫ই জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনেই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তারা সরকারের রূপরেখার বাইরে যেতে পারেনি। ধারাবাহিকভাবে উপজেলা নির্বাচন, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ব্যর্থতার পর পৌরসভা নির্বাচনেও ব্যর্থ হলে নির্বাচন কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতা সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে যাবে। নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি করতে নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে কিন্তু তারা প্রয়োগ করতে পারছে না। কাজেই পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া দুরূহ ব্যাপার। পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সরকারের সকল পর্যায়ের ব্যক্তিদের সহযোগিতা কামনা করেছে ইসি এ বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন বুঝতে পারছে যে, সরকার দলের প্রভাবে জনগণের প্রত্যাশিত নির্বাচন তারা দিতে পারবে না। এজন্য এর দায়দায়িত্ব তারা নিতে চাইছে না। কারণ তাদেও সময় শেষ হয়ে আসছে। এতদিন নির্বাচন কমিশন যা উপভোগ করার তা করেছে। এখন যেহেতু আর সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য তারা দূরে সরে যাচ্ছে। নিজেদের বাঁচানোর উপায় বের করছে। অতীতে জাতীয় নির্বাচনে জোরাজুরি হলে স্থানীয় সরকার নির্বাচন সুষ্ঠু হতো। কিন্তু উপজেলা নির্বাচনে কি ধরনের সহিংসতা হয়েছে তা সবাই দেখেছে। এখন শাসক দলের যে দল আওয়ামী লীগ এখন তো আরও বেশি চাঙা। তারা মনে করছে, গণতন্ত্র হলো যেভাবেই হোক নির্বাচন করে চলে যাওয়া। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে ক্ষমতায়ন করা নয় বরং কিভাবে নিজেরা ক্ষমতায় আসবে সেটি হলো গণতন্ত্র। একটা নির্বাচন হলেই হলো সেটি প্রহসনমূলক হোক বা নামেই হোক। বিরোধী দলের কি আসলো গেল তাতে কিছু যায় আসে না। সুতরাং, একদলীয় রাজনৈতিক শাসনের দিকেই আমরা যাচ্ছি। পৌরসভা নির্বাচনে যে সকল সহিংসতা হচ্ছে তা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দলে মধ্যে থেকেই হচ্ছে। বিএনপির সেই ক্ষমতা নেই যে তারা সহিংসতা করতে পারবে। প্রশাসন সরকারি দলের মধ্যে চলে গেছে। তারা প্রভাবমুক্ত হতে পারেনি। এ কারণে বিরোধী দল থেকে সহিংসতা করলে তারা নিজেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পৌরসভা নির্বাচন যেহেতু দলভিত্তিক হচ্ছে সেহেতু একদলীয় নির্বাচনের মধ্য দিয়েই ক্ষমতা আরও সুসংহত করবে আওয়ামী লীগ বলে মন্তব্য করেন আতাউর রহমান।