তার অগনিত ভক্তের মন খারাপ। ৭৩ বছর বয়সেও চীরনবীন, সিনেমায় অর্ধশতাব্দী পার করার পরও যার ছবি দেখার জন্য ভক্তকুলের মধ্যে প্রবল উন্মাদনার জোয়ার ওঠে সেই বলিউডের শাহেনশা অমিতাভ বচ্চন জানিয়েছেন একটি দুঃসংবাদ। রোগভোগে কাবু অমিতাভর ঘোষনা, এবার তিনি অবসর নিতে চান। কদিন আগেই জানিয়েছিলেন তার কিডনি মাত্র ৩০ শতাংশ কাজ করে। তবুও অসামান্য মনের জোওে তিনি একের পর এক সাড়াজাগানো ছবি উপহার দিয়েছেন। ‘পিকু’ ছবিতে তার বলিষ্ঠ অভিনয় ভক্তকুলকে মুগ্ধ করেছে। আর বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গেও নানা জায়গায় শুটিং করছেন তিনি তিন ছবির জন্য। কলকাতায় শুটিংয়ে মোটর বাইক চালিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন এই বুড়ো বয়সেও তিনি কম কিছু নন। অথচ তিনি নিজের ব্লগে লিখেছেন, আমি রয়েছি..আমি রয়েছি এমন এক অবস্থায়..আমি রয়েছি এক হ্যালুসিনেশনের মধ্যে..জীবনের শেষ প্রান্তে এক অভিশাপের মুখে দাঁড়িয়ে..জ্বর, সংক্রমণ ও কড়া কড়া ট্যাবলেট, যেগুলি মানুষকে ভবিষ্যতের কোন সমস্যা থেকে দূরে রাখে, সেই অভিশাপের মুখে .. ভগবান খুব সামনে..আর কেউ এত কাছে নেই..আমি অনেকের সঙ্গে কথা বলি কিন্তু খুব কম শব্দ খরচ করে.. আমার সত্যিই এবার অবসর নেওয়া উচিত। বিগ বির ব্লগের ছত্রে ছত্রে রয়েছে হতাশা। কিন্তু কেন এই হতাশা? কেনই বা তিনি এই হতাশা এমনভাবে প্রকাশ করতে চেয়েছেন ? রোগে বেসামাল বিগ বি লিখেছেন, শরীর ও শিরা-উপশিরা দিয়ে যে ঠান্ডার ¯্রােত বইছে তা থেকে একটু স্বস্তি পেতে ওষুধে আচ্ছন্ন হয়ে রয়েছি ..ওইগুলোর অদ্ভুত লক্ষণ..ওইগুলো প্রয়োগ করা হয়, তারপর তারা মুহূর্তে দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ে এবং ধ্বংসলীলা শুরু করে। ওষুধ শরীরের জন্য ণির্নায়ক ভুমিকা নিতে পারে, কিন্তু রোগ সারিয়ে তুলতে পারে না। শুধু রোগীর শরীর করে.. অন্ধকারে একা কর্কশ গলা আর বন্ধ নাসারন্ধ্র নিয়ে। তবে পাশাপাশি অভয় দিয়েছেন অমিতাভ বচ্চন। তিনি লিখেছেন, ভয় পাবেন না ভাই ও বোনেরা..যতœ ও সহযোগিতা চলছে.. আগামীকালের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাবে..অথবা ওরা বলছে ..ওরা ? হ্যাঁ, ওরা..ওষুধ দিয়ে সারিয়ে তোলার.. মুখের চেহারা একটু ভালো করার ওষুধ..আরাম পাওয়ার ওষুধ, যা শয়তান ভাইরাস যারা অজান্তে এসে শরীরে বাসা বেঁেধেছে তাদের হত্যা করবে।