জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কনা। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বেশ কিছু শ্রোতাপ্রিয় গান তিনি উপহার দিয়েছেন। নিয়মিত প্লেব্যাকও করছেন এ শিল্পী। পাশাপাশি জিঙ্গেল ও ভয়েস ওভার এর কাজ করছেন। বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত সময় পার করছেন শো নিয়ে। নিজের বর্তমান ব্যস্ততা ও সংগীতের বিভিন্ন দিক নিয়ে আজকের ‘আলাপন’-এ কথা বলেছেন কনা। তার সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন ফয়সাল রাব্বিকীন
কি খবর? কেমন আছেন?
ভালো আছি সবার দোয়ায়। তবে ব্যস্ততাটা একটু বেশি যাচ্ছে এখন। প্রতিটি ক্ষেত্রেই এখন ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে।
ব্যস্ততা সম্পর্কে বলুন।
এটা মূলত শো নিয়ে। শো এর ব্যস্ততা সারা বছরই থাকে। তবে শীতের মৌসুমে তা অনেক বেড়ে যায়। আমারও একই অবস্থা। নিয়মিতই শো করছি। শো এর কারণে প্র্যাকটিসেও সময় দিচ্ছি। সর্বশেষ এসএসএফ নিউ ইয়ার সেলিব্রেশন নাইটে গান করেছি। আরটিভিতে শো করলাম। সামনেও টানা শো রয়েছে।
প্রতিদিনের এই ব্যস্ততা কেমন লাগছে?
আমি ব্যস্ত থাকতে পছন্দ করি। আর এখন না চাইলেও প্রতিদিন ব্যস্ত থাকতে হয়। শো, গান কিংবা জিঙ্গেল ও ভয়েস ওভারের কাজ থাকেই। সুতরাং ফ্রি থাকার কোন সুযোগ নেই। তবে সবচেয়ে ভালো লাগে শ্রোতাদের সরাসরি গান শোনাতে। এই সম্পর্কে বলে অনুভূতি প্রকাশ করা যাবে না।
প্লেব্যাক এর কি খবর?
নিয়মিত প্লেব্যাক করছি। গত বছর সিনেমার অনেক গানে কন্ঠ দিয়েছি । এ বছরের শুরুতেও কিছু ছবিতে গাওয়ার কথা রয়েছে। সর্বশেষ শ্রদ্ধেয় গাজী মাজহারুল আনোয়ারের কথায় ও ফরিদ আহমেদের সুরে একটি ছবির গানে কন্ঠ দিয়েছি। এখানে আমার সহশিল্পী ছিলো প্রতীক হাসান।
জিঙ্গেল ও ভয়েস ওভারের এত কাজ কেমন চলছে?
এই কাজ আমি খুব উপভোগ করি। আমি আমার ক্যারিয়ারে জিঙ্গেল অনেক করেছি। জিঙ্গেলগুলো মানুষের মুখে মুখেও ফিরেছে। তবে এখন ভয়েস ওভারের কাজ বেশি করছি। বিজ্ঞাপনে নিয়মিত কন্ঠ দিচ্ছি। একের পর এক বিজ্ঞাপনে নিজের কন্ঠ শুনতে খুব ভালো লাগে। এর মাধ্যমে গানের বাইরেও আমার কথা বলার কন্ঠটা সবার কাছে খুব পরিচিত হয়ে উঠেছে।
নতুন অ্যালবামের কি খবর?
আমি নতুন গানের ক্ষেত্রে তারাহুড়ো করছি না। ধীরে ধীরে কাজ করছি। ইতিমধ্যে ছয়টি গানের কাজ শেষ করেছি। এর মধ্যে বাপ্পা মজুমদার, ফুয়াদ আল মুক্তাদির, মুন ও কলকাতার আকাশ সেন গান তৈরি করেছেন আমার জন্য। তবে অ্যালবাম আকারে গানগুলো প্রকাশ বোধহয় করবো না। কারণ পুরো অ্যালবাম এখন আর কেউ শুনে না। সিঙ্গেল আকারেই গানগুলো একে একে প্রকাশ করবো। নতুন বছরেই শ্রোতারা নতুন গান পাবেন।
নতুন বছরে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা কেমন দেখতে চান?
মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি আগের মত নেই। সিডির পরিবর্তে অনলাইনে গান শুনছে মানুষ। গান শোনার পাশাপাশি দেখার বিষয়ও হয়ে উঠেছে। টেকনোলজির দিক দিয়ে আমরা অনেক এগিয়ে গেছি। তবে আমরা এখন একটু অস্থির। অনেকেই বলে থাকেন এখন ভালো গান হচ্ছে না। আমি এর সঙ্গে একমত নই। কারণ এখনকার গানগুলোকে আরও ২০-৩০ বছর সময় দিতে হবে। আমি মনে করি এখনও ভালো গান হচ্ছে। আর সেই ভালো গানগুলোই কেবল টিকে থাকবে। নতুন বছরে চাই ইন্ডাস্ট্রিটা স্থির হোক। ভালো ভালো গান প্রকাশ হোক।
গানের ক্ষেত্রে পারিবারিক সাপোর্টটা কেমন পাচ্ছেন?
পরিবারের সাপোর্ট সব সময়ই ছিলো। না হলে এ পর্যন্ত আসা সম্ভব ছিলো না। আমার বাবা-মা সব সময় আমার গানের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছেন, এখনও করছেন।