বরগুনায় আলোচিত শিশু রবিউল (১০) হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন করে বিচারিক কার্যক্রম শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মামলার একমাত্র আসামি মিরাজের (২৮) বিরুদ্ধে দ-বিধির ৩০২ ও ২০১ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়। এ মামলায় প্রথম সাক্ষী হিসেবে পুলিশি হেফাজতে এসে আদালতে সাক্ষী দিয়েছেন মামলার বাদী ও রবিউলের বাবা মো. দুলার মৃধা। বরগুনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু তাহেরের এজলাসে মঙ্গলবার বেলা ১টায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়, চলে বিকেল ৩টা পর্যন্ত।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদী ও বরিউলের বাবা মো. দুলাল মৃধা এ মামলার একমাত্র আসামি মিরাজের (২৮) বিরুদ্ধে ছেলে হত্যার বিবরণ দেন। এ সময় তিনি আদালতে বলেন, গত বছরের ৩ আগস্ট রাতে জালের মাছ চুরির অভিযোগে তার ১০ বছরের শিশু রবিউলকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ পাশের খালে ফেলে রাখে মিরাজ। পরের দিন সকালে আসামি মিরাজের নানা বাড়ি সোনাকাটা ইউনিয়নের আইনুদ্দীনের বাড়িতে ছেলের খোঁজে যান তিনি। এ সময় মিরাজের নানীকে তিনি উঠোন লেপতে দেখেন এবং সেখানে রক্তের ছাপ দেখে চ্যালেঞ্জ করেন। এরপর মিরাজের নানী প্রকৃত ঘটনার বিবরণ দেন। দুলাল মৃধা মিরাজের নানীর উদ্ধৃতি দিয়ে আদালতে বলেন, মিরাজ রবিউলকে ধরে প্রথমে স্থানীয় আমখোলা গ্রামের মসজিদের পাশ নিয়ে আসেন এবং মসজিদের দেয়ালে মিরাজ রবিউলকে সজোরে ধাক্কা মারেন। এতে রবিউল মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে মিরাজ রবিউলে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য তার নানীর ঘরের সামনে এনে রবিউলকে বেদম মারধর করেন। পরে লাশ পার্শবর্তী লকরার খালে ফেলে দেয় মিরাজ। পরের দিন ৪ আগস্ট বিকেলে শিপু নামের এক কিশোর লকরার খালে রবিউলের লাশ পড়ে থাকতে দেখে তাদেরকে জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে রবিউলের লাশ উদ্ধার করে।