নিজেদের জলসীমায় অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক করা যুক্তরাষ্ট্রের ১০ নাবিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইরান। রেভুল্যুশনারি গার্ডস বলেছে- যুক্তরাষ্ট্রকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা যখন তার শেষ ইউনিয়ন ভাষণ দেন তার কিছুক্ষণ আগে যুক্তরাষ্ট্রের ওই ১০ নাবিককে আটক করে ইরান। ওদিকে নাবিকদের সহসাই মুক্তির বিষয়ে আলোচনার বিষয় প্রত্যাখ্যান করেছে ইরানের রেভুল্যুশনারি গার্ডস। তারা বলেছে, এমন ভাবনা কেবল কল্পনা। ইরানের দাবি, ওই নাবিকরা নৌযান নিয়ে ইরানের জলসীমায় অনধিকার প্রবেশ করেছিল। রেভুল্যুশনারি গার্ডের মুখপাত্র রমজান শরীফ বার্তা সংস্থা তাসনিম’কে বলেছেন, আটক নৌ সেনাদের ছেড়ে দেয়ার বিষয়টি কেবল কল্পনা। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। গার্ডের নৌ কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল আলী ফাদাবি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেছেন, ওই নাবিকদের আটক করার পর যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী জাহাজ ৪০ মিনিটের মতো প্ররোচণামুলক ও অপেশাদারিত্ব দেখিয়েছে। এর আগে পেন্টাগনের এক কর্মকর্তা বলেন, আটক নৌ সেনাদের ফেরত আনতে পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে। তাদেরকে সহসাই ছেড়ে দেয়া হবে বলে আশা করে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রতিরক্ষা বিষয়ক কর্মকর্তারা বলেছেন, আটক ১০ নৌ সেনার মধ্যে রয়েছে ৯ জন পুরুষ ও একজন নারী। তারা দুটি নৌযানে ছিলেন। নৌ যান দুটি কুয়েত ও বাহরাইনের মধ্যে প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিল। এক পর্যায়ে তা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হতে পারে। ফলে তেহরানের সঙ্গে ঐতিহাসিক যে পারমাণবিক চুক্তি করেছে যুক্তরাষ্ট্র তার বাস্তবায়ন বিলম্বিত হতে পারে। এডমিরাল ফাদাবি বলেছেন, ইরানের জলসীমায় অনধিকার প্রবেশের কারণে যুক্তরাষ্ট্রকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে। কারণ, তাদের সেনারা ইরানের জলসীমা লংঘন করেছে। এ ঘটনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী জন কেরির সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ। তিনিও যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমা দাবি করেছেন। আটক মার্কিন নৌ সেনারা নিরাপদে ও সুস্থ অবস্থায় রয়েছে। হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জোশ আর্নেস্ট সিএনএনকে বলেছেন, আটক সেনারা সুস্থ ও নিরাপদে আছে এমনটা নিশ্চিত করেছে ইরান।