চলতি বছরের মার্চে অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয় সেই শুরু থেকেই। নিরাপত্তার অজুহাতে পাকিস্তানের মাটিতে খেলতে অস্বীকৃতি জানায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। পাকিস্তান বোর্ড আগেই জানিয়েছিল, দু’দেশের সাম্প্রতিক সমস্যার জেরে ভারতে বিশ্বকাপ খেলার অনুমতি নাও দিতে পারে পাকিস্তান সরকার।
ভারতের মাঠে পাকিস্তানের বিশ্বকাপে অংশ নেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দিতে গত বুধবার পাকিস্তান সরকারকে চিঠি দেন পিসিবি সভাপতি শাহরিয়ার খান। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যাবে ভারতে দল পাঠানোর অনুমতি তারা পাবে কি না। প্রশ্ন হচ্ছে, যদি পাক-সরকার অনুমতি না দেয়, তা হলে কী হবে?
তিনি বলেন, ‘কোন কারণে যদি পাকিস্তান সরকার তাদেরকে ভারতে গিয়ে টি-টোয়োন্টি বিশ্বকাপ খেলার অনুমতি না দেয়, তাহলে তারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) কাছে আবেদন করবে, তাদের ম্যাচগুলো যাতে নিরপেক্ষ কোন ভেন্যুতে আয়োজন করা হয়।’
তিনি আরও জানান, ভারতের পরিবর্তে শ্রীলঙ্কা বা আরব আমিরাতের মতো নিরপেক্ষ যে ভেন্যুতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচ হলে তাদের খেলতে কোনও সমস্যা নেই।
কিন্তু, আইসিসি সূত্রের খবর, সে রকম হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। শুধু পাকিস্তানের খেলার জন্য নিরপেক্ষ ভেন্যুতে বিশ্বকাপের কয়েকটা ম্যাচ আয়োজন করতে কোনভাবেই রাজি নয় আইসিসি। সে ক্ষেত্রে সরকারের অনুমতি না পেলে পাকিস্তানকে বিশ্বকাপ থেকেই সরে দাঁড়াতে হবে। পাকিস্তান খেলুক আর না খেলুক তাতে কোনো আপত্তি নেই আইসিসির।
বাছাইপর্ব কোনো দেশকে বিশ্বকাপে খেলতে আমন্ত্রণ জানানো হবে। চলতি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া নিরাপত্তার অজুহাতে সরে দাঁড়ানোর পর যেমন কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে আয়ারল্যান্ডকে টুর্নামেন্টে খেলার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল আইসিসি।
তবে পিসিবি সামনে তাকিয়েই এগোচ্ছে। ইতোমধ্যে তারা আফ্রিদির নেতৃত্বে তারা টি-টোয়েন্টি দলও ঘোষণা করেছে। দলে বেশ কয়েকজন নতুন মুখ দেখা গেছে। সুযোগ হয়নি উমর গুল, আহমেদ শেহজাদদের। তবে আমির, ওয়াহাব রিয়াজ, মোহাম্মদ ইরফানকে নিয়ে তৈরি পেস আক্রমণ কিন্তু যথেষ্ট ঝাঁঝালো। টেস্ট ওপেনার খুররম মনজুরকে দলে নেওয়ায় আবার বিতর্ক তৈরি হয়েছে।