ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টেও বিধ্বংসী রূপে দেখা মিললো ব্রেন্ডন ম্যাককালামের। গড়লেন টেস্ট ইতিহাসের দ্রুততম সেঞ্চুরি বিশ্বরেকর্ড! গতকাল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের প্রথম দিনে ৫৪ বলে সেঞ্চুরি করেছেন ম্যাককালাম। তার অন্যবদ ১৪৫ রানের উপর ভর করেই ৩৭০ রানে থামে কিউইদের ইংনিস। ম্যাককলাম ছাড়া কোরি অ্যান্ডারসন ৭২ ও ওয়েটলিংয়ের ব্যাট থেকে এসেছে ৫৮ রান।
শনিবার ঘরের মাঠ হ্যাগলি ওভালে ৩৪ বলে অর্ধশতকে পৌঁছান ম্যাককালাম। এর পর আরও বিধ্বংসী তার ব্যাট। পরের পঞ্চাশে বল লাগল মাত্র ২০টি! ৮২ রান থেকে জস হেইজেলউডকে একটি ছক্কা ও টানা তিন চারে ম্যাককালাম তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন ৫৪ বলে। পেছনে ফেলে দেন ভিভ রিচার্ডস ও মিসবাহ-উল-হকের রেকর্ড। ১৯৮৬ সালে অ্যান্টিগায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫৬ বলে শতক করেছিলেন রিচার্ডস। ২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আবু ধাবিতে সেই রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছিলেন মিসবাহ। সময়ের হিসেবে ম্যাককালামের সেঞ্চুরি ইতিহাসের তৃতীয় দ্রুততম। ৭৮ মিনিটে শতক করেছেন কিউই অধিনায়ক। ১৯২১ সালে অস্ট্রেলিয়ার জ্যাক গ্রেগরি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জোহানেসবার্গে করেছিলেন ৭০ মিনিটে। ইংল্যান্ডের গিলবার্ট জেসপ ১৯০২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওভালে সেঞ্চুরি করতে সময় নিয়েছিলেন ৭৭ মিনিট। ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টে সেঞ্চুরি করা নিউজিল্যান্ডের মাত্র দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান ম্যাককালাম। একদিক থেকে প্রথমও বলা যায়। আগে যিনি করেছিলেন, সেই রডনি রেডমন্ড সেঞ্চুরি করেছিলেন ক্যারিয়ারের একমাত্র টেস্টে। মানে অভিষেক টেস্টই হয়ে ছিল তার শেষ টেস্ট! ম্যাককালাম তান্ডব চালিয়ে গেছেন শতকের পরও। শেষ পর্যন্ত প্যাটি সনের বলে নাথান লায়নের দারুণ ক্যাচ থামিয়েছে এই ঝড়। ততক্ষণে কিউই অধিনায়কের নামের পাশে ৭৯ বলে ১৪৫ রান! ২১টি চারের পাশাপাশি তাতে ৬টি ছক্কা। ম্যাককালাম আউট হওয়ার সময় নিউজিল্যান্ড মাত্র ৪৫ ওভারেই করে ফেলেছিল ২৫৩ রান! আর ১১৭ রান তুলতেই হারিয়ে ফেলেছে বাকি ৫ উইকেট, শেষ পর্যন্ত মাত্র ৬৫.৪ ওভারেই অলআউট হয়েছে ৩৭০ রানে। ম্যাককালাম থেকে প্রেরণা নিয়েই বোধ হয় আগ্রাসী মেজাজে ছিলেন কোরি অ্যান্ডারসন ও বিজে ওয়াটলিংও। ৬৬ বলে অ্যান্ডারসন করেছেন ৭২, ওয়াটলিং ৫৭ বলে ৫৮। অস্ট্রেলিয়ার নাথান লায়ন পেয়েছেন ৩ উইকেট। হ্যাজলউড, প্যাটিনসন ও বার্ড পেয়েছেন ২ টি করে উইকেট।