দারুন নাটকীয় ম্যাচে ভারতের কাছে ১ রাানে হেরেছে বাংলাদেশ। শেষ ওভারে বাংলাদেশের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিলো ১১ রান। হারদিক পান্ডের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে দুটি চারের সহায়তায় ৮ রান সংগ্রহ করেছিলেন মুশফিকুর রহীম। তখনও জয়ের জন্য বাংলাদেশের জয়ের জন্য দরকার ছিলো ৩ বলে ২ রান। চতুর্থ বলেই অযথা ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন মুশফিক। পরের বলে বিদায়নেন মাহামুদুল্লাহ রিয়াদ। শেষ বলে মুস্তাফিজ রান আউট হলে ১ রানের জয় পায় ভারত।
চার দিয়ে শুরু করেছিলেন তামিম। দুই ওভারে ১০ রান সংগ্রহ করেছিল বাংলাদেশের দ্্ুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। তবে তৃতীয় ওভারেই ঘটে ছন্দপতন। অশ্বিনকে উদিয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারীতে হারদিক পান্ডের তালুবন্দী হন মিথুন আলী। ১২ রানেই প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সাব্বির আহাম্মেদকে সঙ্গে নিয়ে ছয় ওভারে ৪৫ রান সংগ্রহ করেন তামিম। জাসপিত ভোমরার এক ওভারে চারটি চার মেরেছেন এই বাহাতি ওপেনার। এরপর অবশ্য বেশীক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি তামিম। ৩৫ রান করে জাদেজার বলে ফিরেছেন ধোনির স্ট্যাম্পিং হয়ে। তামিমের বিদায়ে আট ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫৭। তামিমের বিদায়ে দায়িত্বটা যেন নিজের কাধে নিয়েছিলেন সাব্বির। খেলছিলেনও দারুন। ১৪ বলে ২৬ রান দূভ্যাগজনক ভাবে রায়নার বলে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাদে পরেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। রানের টাকা সচল করতে পাচ নাম্বারে মাঠে নামেন মাশরাফি। তবে টিকতে পারেননি তিনি। মাত্র একটি ছক্কা হাকিয়ে জাদেজার বলে বোল্ডহন টাইগার অধিনায়ক।
২০ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ১৪৬/৭। ২০তম ওভারের প্রথম বলে মুস্তাফিজ বোল্ড করেন জাদেজাকে। শেষ ওভারে মুস্তাফিজ দেন ৯ রান। তিনি ৩৪ রানে আর আল আমিন ৩৭ রানে দুটি উইকেট নেন। একটি করে নেন সাকিব, মাহমুদুল্লাহ ও শুভাগত। বল করতে এসে প্রথম ওভারেই সফল হন মাহমুদুল্লাহ। চার রাানের বিনিময়ে বিদায় করেন যুবরাজকে। সহজ ক্যাচ নেন আল আমিন। শেষ পর্যন্ত মহেন্দ্র সিং ধোনি অপরাজিত থাকেন ১২ বলে ১৩ রান করে।
মারমুখি সুরেশ রায়নাকে বিদায় করেন আল আমিন। ১৬তম ওভারেরর প্রথম বলেই আঘাত হানেন রায়না। উড়িয়ে মারতে গিয়ে সাব্বিরের হাতে ধরা পড়েন ২৩ বলে ৩০ রান করা রায়না। পরের বলেই হারদিক পান্ডিয়াও আউট। সৌম্যের হাতে ধরা পড়েন ৭ বলে ১৫ রান করা পান্ডিয়া। ঝাঁপিয়ে পড়ে সৌম্যের এ ক্যাচটিকে গাভাস্কারও বলেন তার দেখা অন্যতম সেরা এক ক্যাচ। আরেক অস্ট্রেলিয়ান ধারাভাষ্যকার এটিকে টুর্নামেন্টের সেরা ক্যাচ আখ্যা দেন। ভারত তখন ১১২/৫। ১১২ থেকে থেকে ১১৭ এই পাঁচ রানের মধ্যে তিন উইকেতট হারায় ভারত। এর আগে বিরাট কোহলিকে আউট করে শুভাগত হোম বাংলাদেশ সমর্থকদের আনন্দে ভাসান। ১৪তম ওভাররে ১০০ রান পূরণ করে ভারত। ভারতের সেরা ব্যাটসম্যান কোহলি ২৪ বলে ২৪ রান করেন। ১৫ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ১১২/৩। ১৬তম ওভারের প্রথমে রায়নাকে সাব্বির রহমানের ক্যাচে পরিনত করেন এই পেসার। দলের হয়ে সর্বাধিক ৩০ রান করেন রায়না। পরের বলে ৭ বলে ১৫ রান করা হারদিক পান্ডেকে এক অবিশ্বাস ক্যাচ লুফলেন সৌম সরকার। এতে হ্যটট্রিকের সম্ভাবনা যাকে আল আমিনের, তবে শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি। হ্যাটট্রিক না হলেও শেষ পাঁচ ওভারে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের লাগাম টেনে ধরে ছিলেন মুস্তাফিজরা। শেষ পাঁচ ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে তাদের সংগ্রহ ছিলো মাত্র ৩৪ রান। এতে ১৪৬ রানে থামে ভারতের ইনিংস। ৪ ওভারে মাত্র ২৩ রান দিয়ে এক উইকেট নেন সাকিব। ৩৭ রানে আল আমিন ও ৩৪ রানে মুস্তাফিজনেন দুই উইকেট।