আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা থেকেঃ গাইবান্ধার সাঘাটায় হার্ট অ্যাটাকে (হৃদরোগে) গৃহবধূ রেবেকা বেগম পিকচারের মৃত্যু হলেও তার স্বামী আপেল মাহমুদ ও বৃদ্ধ শাশুড়ি আফরুজা বেওয়ার নামে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার গাইবান্ধা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে প্রতিকারের দাবি জানিয়েছে মৃত গৃহবধূর স্বামীর পরিবার।
লিখিত বক্তব্যে আফরুজা বেওয়া উল্লেখ করেন, কয়েক বছর পূর্বে সাঘাটা উপজেলার চাকুলী গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে আপেল মাহমুদের সাথে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার শালিখা গ্রামের বাচ্চু বেপারীর মেয়ে রেবেকা বেগম পিকচারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের ঘরে দুই পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। গত ১৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জের শ্রীপতিপুর গ্রামের ভাড়া বাসায় রেবেকা হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। ফলে ওই রাতেই তাকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন সকালে তার মৃত্যু হয়। রেবেকার মৃত্যুর সনদে চিকিৎসক স্ট্রোকের কথা উল্লেখ করেন। ঘটনার দিন রেবেকার স্বামী চাকরিজনিত কারণে কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলীতে ছিলেন। কিন্তু গোবিন্দগঞ্জ থানায় পিতা বাচ্চু আলী মৃত রেবেকার স্বামী আপেল মাহমুদ ও শাশুড়ি আফরুজা বেওয়ার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে হয়রানিমূলক মিথ্যা হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার প্রতিকারের জন্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মৃত রেবেকার দুই শিশু পুত্র তুষার ও মেহেদী, ভাসুর নজরুল ইসলাম ও লুৎফর রহমান, ননদ লতিফুল বেগম, মর্জিনা বেগম, ঝরণা বেগম ও রঞ্জনা বেগম, বড় জা সুইটি বেগম প্রমুখ।