বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শরীফুল ইসলামের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত বিভিন্ন পত্রিকার ২৫ সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্ত নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে নাটকের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত কমিটি গঠনের পাঁচ দিন পরও কমিটির সদস্যদের চিঠি না দেওয়ায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাঁচানোর পাঁয়তারা করছে বলে এমন অভিযোগ সাংবাদিক সমিতির একাধিক নেতার।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান বলেন, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং ছাত্রলীগের সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমাকে জানিয়েছিল তাঁদের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে। এ কারণে তদন্ত কমিটিকে চিঠি দেওয়া হয়নি।
তবে সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মোবারক হোসেন সমঝোতার কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘ভিসি স্যারের সাথে আমরা ব্যক্তিগত কাজে দেখা করতে গিয়েছিলাম। সে সময় ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার শীর্ষ দুই নেতা সেখানে উপস্থিত হন। কিন্তু সেখানে সমঝোতার বিষয়ে কোনো কথা হয়নি।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যায় ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে তার পক্ষের কর্মীরা প্রক্টর অফিস ও উপাচার্যের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের ওপর দুই দফা হামলা চালায়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মোবারক হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সুজাউল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মাহাবুব মোমতাজি ও বাংলা নিউজের ইমরান হোসেনসহ ২৫ সাংবাদিক লাঞ্ছিত হন। এর প্রতিবাদে সাংবাদিকরা কর্মসূচি দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জরুরি ভিত্তিতে তার সভাকক্ষে সাংবাদিদের নিয়ে আলোচনায় বসেন। এ সময় ভিসি সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন অনুযায়ী দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। এরপর ওই দিনই বিশ্ববিদ্যায়ের জনসংযোগ অফিসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খানকে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। – See more at: http://www.kalerkantho.com/online/country-news/2014/05/10/82640#sthash.xNE1QC49.dpuf