বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটান ও মিয়ানমারের অংশগ্রহণে ভারতের শিলংয়ে অনুষ্ঠিত হলো দু’দিনব্যাপী নদী সম্মেলন। পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন, আন্তঃনদী প্রবাহ নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এ সম্মেলন উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে মত অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর।
উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমারের যোগসূত্র তৈরি করেছে প্রায় একশোটি নদী। এই সম্পর্ক হাজার বছরের। ব্যবসা বাণিজ্য, শিল্প-সংস্কৃতি-কৃষ্টির সাম্যতা এই যোগসূত্রের ফসল। পাশাপাশি এই নদী সম্পদের কারণে সৃষ্টি হয়েছে দ্বন্দ্ব যা, এই অঞ্চলের মানুষ আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
তাই ঐকমত্যের মাধ্যমে এই অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রায় এই নদীগুলোর ব্যবহারে ইতিবাচক প্রভাব তৈরির লক্ষে মেঘালয়ের গবেষণা সংস্থা এশিয়ান কনফ্লুয়েন্স নদী সম্মেলনের আয়োজন করে।
সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে বাংলাদেশের পর্যটন ও বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম শোনালেন আশার কথা।
পর্যটন ও বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘যৌথ নদী ব্যবস্থাপনার যে বিষয়টি আমরা বহুদিন থেকে বলে আসছি, এ সম্মেলন নিশ্চিতভাবে সে বিষয়ে সহায়ক হবে।’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘এ সম্মেলনের মধ্যমে সম্মিলিতভাবে নদী সমস্যা সমাধানের একটি ভিত্তি রচনা হবে। ভারতের নদী বিশেষজ্ঞরাও এখানে উপস্থিত ছিলেন। আর এখানে কম বেশি সমলেই কিন্তু একই সুরে কথা বলেছেন।’
অন্যদিকে, বাংলাদেশের বিশিষ্টজনরা সম্মেলনে পর্যটন ও আন্তঃ যোগাযোগের ক্ষেত্রে উঠে আসা বিভিন্ন পদক্ষেপের বাস্তবায়ন চাচ্ছেন।
১৫ জুলাই শিলংয়ের স্টেট কনভেনশন সেন্টারে দু’দিনব্যাপী নদী সম্মেলনের উদ্বোধন করেন মেঘালয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মুকুল সাংমা।
দু’দিনের নদী সম্মেলনের মাধ্যমে এই অঞ্চলের নদী ভিত্তিক পর্যটন এবং ব্যবসা-বাণিজ্য দ্বার উন্মোচিত হবে বলে মনে করছেন অংশগ্রহণকারীরা।